স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মৃত বেড়ে ৯। সোমবার (৮ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে রাত সোয়া ১১টা দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোদের মধ্যে ৪ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী, একজন আরপিএফ কর্মী এবং একজন পুলিশের এএসআই রয়েছেন। তাছাড়া নিহত বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ১৪ তলা বিশিষ্ট ভবনটির ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে বলে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভবনের ১২ তলায়। সেখানে রেলের সার্ভার রুমটি ভস্মীভূত হয়েছে। এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের বুকিং ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর সঙ্গে এ দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অভিযোগ, আগুন লাগার পর পরই বিল্ডিংয়ের নকশা দেওয়ার জন্য রাজ্য দমকল ও পুলিশের তরফে রেলকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা (রেল) সেসব দিতে পারেনি। এমনকি রেলের কোনও কর্তাও এসে পৌছায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ। এর সঙ্গে রেলের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস কেনো ব্যবহার করা হলো না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মারা গেছেন তারা লিফটে করে আগুন নেভাতে গিয়েছিল। ওরা দক্ষ ছিল। কিন্তু কোনোভাবে লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে দমবন্ধ হয়ে ঝলসে মারা যান।
সোমবার সন্ধ্যায় বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। ভবনের ১৩ তলায় প্রথমে আগুন লাগে, পরে তা অন্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাড়িতেই ছিল রেলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস। আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থা হয় দমকল কর্মীদের। ভবনের নকশা না পাওয়ায় সময় নষ্ট না করে, আগুনের উৎসের সন্ধানে দমকল কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লিফটের ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
Facebook Comments