তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইবোলার মতো মারবার্গ নামের অতিসংক্রামক এক ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে অস্বাভাব্কি ব্যথা ছিল তাদের। তানজানিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী উম্মি মাওয়ালিমু ধারণা করছেন, মারবার্গ ভাইরাসেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণ আরও ছড়াবে না বলে আশা করছেন তিনি।
মধ্য আফ্রিকার দেশ গিনিতে মারবার্গ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত হওয়ার এক মাসের মাথায় তানজানিয়ায়ও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত আট রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া শনাক্ত রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ১৬১ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটির উপসর্গ অনেকটা ইবোলার মতো। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, তানজানিয়ার ন্যাশনাল পাবলিক ল্যাবরেটরি দেশটিতে মারবার্গ ভাইরাসে পাঁচজন মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। তারা তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিম কাগেরা অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরও জানায়, মারবার্গ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ওই রোগীরা জ্বর, বমি, রক্ত ক্ষরণ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃতদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। আফ্রিকায় নিযুক্ত ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি বলেছেন, ‘ভাইরাসটির বিস্তার রোধে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দ্রুত বাড়াতে আমরা তানজানিয়া সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মারবার্গ ইবোলার জন্য দায়ী একই ভাইরাস পরিবার থেকে এবং ফল খাওয়া বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। ছোঁয়াছে এ রোগটিতে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ।
Facebook Comments