দুর্গাপূজা সামনে রেখে ভারতের জনগণকে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনালো কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার ভেতর বছরখানেক ধরে বেড়ে চলা ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্কে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে ভারত সরকার। এর ফলে দেশটির খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপরিশোধিত পাম তেলের মূল আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইভাবে, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের মূল আমদানি শুল্ক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর পরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের মূল আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ছাড়ের পর ভারতে অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানিতে মোট শুল্ক দিতে হবে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যার মধ্যে ২ দশমিক ৫ শতাংশ মূল আমদানি শুল্ক এবং অন্যান্য কর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিপরীতে পরিশোধিত পাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানিতে মোট শুল্ক দিতে হবে ৩৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত শনিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন এ শুল্কহার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি শুল্ক কমে যাওয়ায় ভারতের খুচরা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি চার থেকে পাঁচ রুপি কমতে পারে। তবে এ সিদ্ধান্তের কারণে আনুমানিক ১১শ কোটি রুপির রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোজ্যতেল আমদানিকারক ভারত। দেশটি অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই পূরণ করে আমদানির মাধ্যমে। ফলে ভারতে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের হ্রাস-বৃদ্ধি একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
Facebook Comments