আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, ইজরায়েলে 🇬🇧ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইসরায়েলে পৌঁছানোর পর ঋষি সুনাক বলেছিলেন যে আমি এখানে এসেছি কারণ এই দেশটি একটি বড় আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। এখানকার মানুষ শোকে মুহ্যমান। আমি ইসরায়েলের জনগণকে বলতে চাই যে এই দুঃখের সময়ে আমি আপনাদের পাশে আছি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আছি। আজই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ঋষি সুনাক। সুনাক ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

বৃহস্পতিবার বেন গুরিওন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এখানে তিনি বলেছিলেন যে অন্যান্য সমস্ত বড় ইস্যুগুলির চেয়ে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হ’ল ইসরায়েলকে সন্ত্রাসবাদের ভয়ানক হুমকির মুখোমুখি হতে হবে। আমি আপনাকে বলতে চাই যে যুক্তরাজ্য এবং আমি আপনার সাথে দাঁড়িয়েছি। আমি এখানে এসেছি জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে। সুনাকের কার্যালয় জানিয়েছে, চলমান উত্তেজনা যাতে আরও বাড়তে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী সুনাক ইসরায়েলের আশেপাশের আরও কয়েকটি দেশ সফর করতে পারেন।

#WATCH | Tel Aviv: British Prime Minister Rishi Sunak says, "…I am sorry to be here in such terrible circumstances. In the last two weeks, this country has gone through something that no country, no people should have to endure, least of all Israel…I want to share the deep… pic.twitter.com/9IsctS9PYP

— ANI (@ANI) October 19, 2023

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, “…এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে এখানে এসে আমি দুঃখিত। গত দুই সপ্তাহে, এই দেশ এমন কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে যা কোনো দেশ, কোনো মানুষকে সহ্য করতে হবে না, অন্তত ইসরায়েলের। ..আমি ব্রিটিশ জনগণের গভীর সমবেদনা জানাতে চাই এবং জোর দিতে চাই যে আমরা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে পুরোপুরি সমর্থন করি, উদ্দেশ্য গণনাকারী ঋষি সুনাক বলেছেন, “…এমন ভয়ানক এখানে এসে আমি দুঃখিত। গত দুই সপ্তাহে, এই দেশটি এমন কিছু মধ্য দিয়ে গেছে যা কোনো দেশে, কোনো যোগাযোগ সহ্য করতে হবে না, ইসরায়েলের .. আমি জনগণের গভীর সমবেত। জানাতে চাই এবং জোর দিতে চাই আমরা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সাথে ইসরায়েলের আত্মক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।

তার সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী সুনাক বলেছেন যে হামাসের সন্ত্রাসী হামলায় বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিটি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু একটি দুঃখজনক ঘটনা এবং আমরা এর নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, আল আহলি হাসপাতালের হামলা এই অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের নেতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হওয়া উচিত যাতে সংঘাতের আরও বাড়তে না পারে। আমি নিশ্চিত করব যে যুক্তরাজ্য এই প্রচেষ্টার অগ্রভাগে থাকবে। বুধবার ঋষি সুনাকের মুখপাত্র বলেছেন যে ইসরায়েলে হামাল হামলায় সাতজন ব্রিটিশ নাগরিকও মারা গেছে এবং অন্তত নয়জন নিখোঁজ রয়েছে।

🟠বিডেন বুধবার এসেছিলেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বুধবার ইসরাইল পৌঁছেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার পর বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের হামলার নিন্দা করেন। বাইডেন বলেন, হামাস একটি নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী সংগঠন, তারা যেভাবে ইসরায়েলকে আক্রমণ করেছে তা মানবতাবিরোধী।

🟠 উপসাগরীয় দেশগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যেও যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বে বিশ্ব দুটি উপদলে বিভক্ত বলে মনে হচ্ছে। বিডেনের পর ইজরায়েলে পৌঁছেছেন সুনাক। অন্যান্য অনেক দেশও প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। মুসলিম দেশগুলোতে ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে। এর পর উপসাগরীয় দেশগুলোতে উত্তেজনা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স