কলকাতাসহ বেশ কিছু এলাকায় ধর্মঘট ডেকেছে বিভিন্ন বামপন্থি শ্রমিক সংগঠন। দুদিনের ধর্মঘটের প্রথম দিন সোমবার (২৮ মার্চ) কলকাতা ও এর আশেপাশের এলাকায় মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। ধর্মঘট সফল করতে মরিয়া ছিল বামপন্থি সংগঠনগুলো। অপরদিকে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কলকাতা ও এর আশেপাশের শহরতলীতে সকাল থেকে দফায় দফায় রেল ও সড়ক অবরোধে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে ধর্মঘট সমর্থকরা যাদবপুর-হুগলি-শ্রীরামপুর-বেলঘরিয়া-শ্যামনগর-কুলগাছিয়া-ডোমজুড়-দক্ষিণ বারাসাত-জয়নগরে দফায় দফায় রেল অবরোধ করে।
দমদম মেট্রো স্টেশনের বাইরে ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং করা হয়। যদিও ট্রেন এবং মেট্রো স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে বলে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছে।
কলকাতায় গোলপার্ক এলাকায় গার্ডরেল ভেঙে ফেলেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। অপরদিকে, পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটকারীদের সংঘর্ষ বাঁধতে দেখা গেছে লেকটাউন কালিন্দি এলাকায়। ধর্মঘটে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে যশোর রোডে জোর করে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন ধর্মঘটকারীরা। যাদবপুর এলাকায় তাদের সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। যাদবপুর এইট-বি বাস স্ট্যান্ড থেকে সুলেখা মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়েছে। বাগুইআটি ৪৪ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের সামনে ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। রাস্তায় শুয়ে পড়ে ভিআইপি রোড অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সব জায়গায় অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
ধর্মঘটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করে কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল নবান্নের পক্ষ থেকে। নবান্ন, মহাকরণসহ রাজ্য সরকারি বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল আর সব দিনের মতোই। তবে ব্যাংক, ডাক, টেলিকমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন কর্মী সংগঠন ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় কাজ কর্মে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
Facebook Comments