কাইরন পোলার্ড, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার, ব্রেন্ডন কিং, জেসন হোল্ডাররা মিলে নির্ধারিত ২০ ওভারে দাঁড় করিয়েছিল ২০৭ রানের সংগ্রহ। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডও রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবু ভারতেরই মাটিতে, তাদের দর্শকদের সামনে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান করে ফেলা মানেই ম্যাচ অর্ধেক জিতে নেয়া। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য ভাবনাই ছিলো স্বাগতিক অধিনায়ক বিরাট কোহলির মনে। তাই তো নিখুঁত ব্যাটিংয়ে ঝড়ো এক ইনিংস খেলে ৮ বল বাকি থাকতেই দলকে এনে দিয়েছেন ৬ উইকেটের এক রেকর্ডময় এক জয়।
মাত্র ২৯ ইনিংসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১০০০ রান পূরণ করা রাহুল আউট হন ৪০ বলে ৬২ রান করে। তখনও ভারতের জয়ের জন্য বাকি ছিলো ৩৯ বলে ৭৮ রান। কিন্তু এই রান করতে মাত্র ৩১ বল নেন কোহলি-পান্তরা। শুরুতে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে ব্যর্থ হলেও ধীরে ধীরে স্বরুপে ফেরেন কোহলি।
নিজের ইনিংসের প্রথম ২১ বলে মাত্র ২১ রান করা কোহলি পরে খেলেন আরও ২৯টি ডেলিভারি। যা থেকে তার নামের পাশে যোগ হয় ৭৩টি রান। চোখের পলকে ব্যাটিংয়ের গিয়ার বদলে ফেলে ক্যারিবীয় বোলারদের কচুকাটা করতে শুরু করেন তিনি। যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী ছিলেন কেসরিক উইলিয়ামস। তার এক ওভার থেকেই আসে ২৩ রান।
সবমিলিয়ে মাত্র ৫০ বল খেলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। যা কি না তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে তিনি দলকেও এনে দেন সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। রিশাভ পান্ত আউট হন ৯ বলে ১৮ রান করে।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা প্রায় সবাই পিটিয়েছেন যার যার মতো। ওপেনার লেন্ডল সিমন্সও কেবল ব্যর্থ (২)। আরেক ওপেনার এভিন লুইস ১৭ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৪০ রান।
এরপর ব্রেন্ডন কিং (২৩ বলে ৩১), সিমরন হেটমায়ার (৪১ বলে ৫৬), কাইরন পোলার্ড (১৯ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৭)-কেউই বাদ যাননি। শেষদিকে জেসন হোল্ডার ৯ বলে ২৪ আর দিনেশ রামদিন ৭ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন দীপক চাহার, ৪ ওভারে ৫৬ রান খরচায় নিয়েছেন ১টি মাত্র উইকেট। ৩৬ রানে ২ উইকেট নেন ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল।
Facebook Comments