৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ হলো দিল্লির রাজপথে। স্থল-বায়ু-নৌ সেনার অভিনব শক্তি প্রদর্শনের সাক্ষী থাকল ভারতবাসী।
করোনা আবহে এবার মূল অনুষ্ঠান অনেকটাই ছোট করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় সমর সৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে অভ্যর্থনা জানান তিন বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরই দিল্লির রাজপথে শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মূল অনুষ্ঠান। ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে লেখেন, আপনাদের সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। জয় হিন্দ। এবারই প্রথম কুচকাওয়াজে দেখা গেছে সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টারের মহড়া। এমনকি ৭৫টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারও অংশ নিয়েছে তাতে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যবহার হচ্ছে অত্যাধুনিক ড্রোন। ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এক হাজার ড্রোন ব্যবহার হবে এই কাজে। সেই সঙ্গে এবারই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে থাকছে ‘প্রোজেকশন ম্যাপিং’। এবারই প্রথম গোটা ভারত থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় ৪৮০ জন শিল্পী। তারা কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন, প্যারেডে অংশ নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর ছয়টি শাখা। তার মধ্যে রয়েছে- রাজপুত রেজিমেন্ট, আসাম রেজিমেন্ট, জম্মু-কাশ্মীর লাইট রেজিমেন্ট, শিখ লাইট রেজিমেন্ট, আর্মি অর্ডন্যান্স কর্পস এবং প্যারাসুট রেজিমেন্ট।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, আসুন আমরা আরও একবার সংবিধানের মৌলিক কাঠামো রক্ষার শপথ নিই। বিশেষ করে সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করার ওপর। তিনি আরও লেখেন, আসুন আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই বিচার ব্যবস্থার আদর্শ, স্বাধীনতা, ভারসাম্যকে মজবুত করার। ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কলকাতার রেডরোডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, সেনাবাহিনীর যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
Facebook Comments