১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলকে ভারত
করোনাভাইরাসরোধী টিকাদানে ১০০ কোটি ডোজের মাইলফলক স্পর্শ করলো ভারত। কর্মসূচি শুরুর মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী প্রায় ৭৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ এবং ৩০ শতাংশকে দুই ডোজ করে টিকা দিয়েছে দেশটি। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ভারত সরকারের কোউইন ওয়েবসাইটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি করোনারোধী টিকাদান অভিযান শুরু করেছিল ভারত। যদিও টিকাদান সংক্রান্ত ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ফর ফোকাসড রিসার্চ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে।
ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অনুমোদনে এই কর্মসূচিতে তিনটি টিকা ব্যবহৃত হয়েছে। সেগুলো হলো ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিন এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা।
তবে সেখানে স্পুটনিক-ভি ব্যবহার করা হয়েছে খুবই সামান্য, মাত্র চার লাখের মতো। ব্যবহৃত ১০০ কোটির বাকি ডোজের প্রায় সবই উৎপাদন হয়েছে ভারতে।
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও সম্মুখ সারির কর্মীদের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। পরে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ও একাধিক রোগে আক্রান্ত এবং পর্যায়ক্রমে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি বয়সের সবাইকেই টিকা দিচ্ছে ভারত।
বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে দেশব্যাপী ৩ লাখ ১৩ হাজার টিকাকেন্দ্র গড়ে তোলে ভারত সরকার, যার ৭৪ শতাংশই গ্রামীণ এলাকায়। এই কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৬৪ হাজার টিকাদানকারীসহ অন্তত ৭ লাখ ৪০ হাজার জনকে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সরকার আশা করছে, ২০২১ সালের শেষের দিকে তাদের টিকা উৎপাদন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশটির জনসংখ্যার বড় অংশকে পূর্ণ ডোজ টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এটি বিশ্বব্যাপী টিকা ভাগ করে নেওয়ার বৃহত্তর সম্ভাবনাকে সফল করার মাধ্যমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য’ রূপকল্প বাস্তবায়নেও অবদান রাখবে।
Facebook Comments