৫ম দফার লকডাউন শিথিল হতেই সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি যেতে পারে এবং তা বৃহস্পতিবারের (১১ জুন) মধ্যেই হতে পারে। গত সপ্তাহে এমনটাই জানিয়েছিল বিশেজ্ঞরা। আজ শুক্রবার ১২ জুন সকাল ৮ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী দেশজুড়ে নতুন করে করোনা🦠 আক্রান্ত ১০,৯৫৬ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। দেশজুড়ে মোট আক্রান্ত ২,৯৭,৫৩৫ মৃত ৮,৪৯৮ সুস্থ ১,৪৭,১৯৫। করোনা মহামারিতে বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এলো ভারত।
২৪ ঘণ্টার ভারতে সবচেয়ে বেশি করোনা সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে দিল্লি, মুম্বাইতে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে তেমনটাই উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, দেশব্যাপী ধাপে ধাপে চলা লকডাউনের কারণে কমানো গেছে সংক্রমণের গতি। দেশের ৮৩টি জেলায় সংক্রমণের হার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম।
একই দাবি করেছেন ‘আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব। তিনি জানান, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু হু এখনও সেটা নিশ্চিত করেনি। আমাদের দেশে জনপথ পিছু সংক্রমণ খুব কম। ১ শতাংশের নিচে। শহরাঞ্চলে একটু বেশি। আর কন্টেইনমেন্ট এলাকায় আর একটু বেশি। কিন্তু আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণের মধ্যে নেই। গোষ্ঠী সংক্রমণ বা স্টেজ-থ্রি সংক্রমণ, তখন ধরা হবে যখন, বাহকের খোঁজ মিলবে না।
এছাড়া তার দাবি, ‘মাত্র শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশর ক্ষেত্রে বাহকের অস্তিত্ব মেলেনি। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এটা অত্যন্ত নগণ্য। তাই আমরা বলতেই পারি দ্রুত সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন কার্যকরী। অর্থাৎ দশের অধিকাংশ মানুষ সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম।’
Facebook Comments