তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সমান একটি করে জয় পায় ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। এ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ৪ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। এ দুইজন গড়ে তোলেন শতরানের জুটি। ২১.২ ওভারে এ জুটিতে আসে ১২২ রান। ৬৩ রান করে আউট হন রোহিত। এরপর কোহলির সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৫ রান যোগ করে ১৬৭ রানের মাথায় আউট হন রাহুল। ৮৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
শ্রেয়াস আইয়ার ও রিশভ পান্তও কোহলিকে সঙ্গ দিতে পারেননি। দুইজনই আউট হন সমান ৭ রান করে। ২২৮ রানের মাথায় ৯ রান করে কেদার যাদবও আউট হলে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা। তবে এরপরই ম্যাচজয়ী ইনিংস গড়ে তোলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও কোহলি। এ জুটিতে আসে ৫৮ রান। ৮১ বলে ৮৫ রান করে আউট অন কোহলি। তবে কোহলির বিদায়ে শুধু ভারতের জয়ে উইকেটের ব্যবধানই কমেছে। শার্দূল ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ভারত। জাদেজা ৩১ বলে ৩৯ এবং শার্দূল ৬ বলে ১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতিতে শুরু করেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। ১৫তম ওভারের শেষ বলে ৫০ বলে ২১ রান করে লুইস আউট হলে ভাঙে এ দুইজনের ৫৭ রানের জুটি। ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর দলীয় ৭০ রানে আউট হন হোপও। মোহাম্মদ সামির বলে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে হোপ করেন ৫০ বলে ৪২ রান।
দুই উইকেট হারানোর পর ধাক্কা সামাল দেন শিমরন হেটমায়ার ও রোস্টন চেজ। এ দুইজনের জুটিতে আসে ৬২ রান। ৩৩ বলে সমান ২ চার ও ছয়ে ৩৭ রান করে আউট হন হেটমায়ার। আর চেজ খেলেন ৪৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন নিকোলাস পুরান ও কাইরন পোলার্ড। এ দুইজন ৯৮ বলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৩৫ রান। এটি ভারতের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে উইন্ডিজদের সর্বোচ্চ জুটি। দলীয় ২৭৯ রানে ৬৪ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৮৯ রান করে আউট হন পুরান। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ১৩ বলে ৩৬ রান যোগ করেন পোলার্ড। তিনি ৫১ বলে ৩ চার ও ৭ ছয়ের সাহায্যে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতের নবদ্বীপ সাইনি দুটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মোহাম্মদ সামি, শার্দূল ঠাকুর ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
Facebook Comments