পর্যটনকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভারতীয় রেল নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। যাত্রী সংখ্যা কম হয়, এরকম রেলপথগুলিকে ‘হেরিটেজ’ লাইন বানিয়ে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, আসাম উত্তরপ্রদেশের অপেক্ষাকৃত ‘নিষ্ক্রিয়’ রুটগুলিতে এই উদ্যোগ নেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, দেশজুড়ে থাকা পাঁচটি বাণিজ্যিকভাবে অসফল মিটারগেজ রেলপথকে হেরিটেজ করিডোরে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছে রেল দপ্তর। প্রস্তাবিত প্রকল্পে মধ্যপ্রদেশের ৩০কিলোমিটার দীর্ঘ মহো-কালাকুন্দ রেললাইন রয়েছে, যেটা শুধুমাত্র পর্যটন উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হবে। এই রেলপথটি বিন্ধ্যাচল পর্বতমালার পাহাড় এবং সৌন্দর্যময় উপত্যকার মধ্য দিয়ে যায়। সেইসঙ্গে পর্যটকদের ইন্দোরের পাটলপানি জলপ্রপাতের দিকে নিয়ে যায়। একইভাবে উত্তর প্রদেশের ১৭১কিলোমিটার বিস্তৃত নানপাড়া-মৈলানি বিভাগটিও পর্যটনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে। এটি দুধওয়া ন্যাশনাল পার্কের মধ্য দিয়ে রয়েছে। করিডোরটি বিশাল সংখ্যক বন্যপ্রাণ-প্রেমীদের উৎসাহিত করবে। ভারতের জঙ্গলে সিংহ দর্শনের একমাত্র স্থান গুজরাট রাজ্যের গির অরণ্য। এপথে প্রায় ৫০কিমি মিটারগেজ করিডোর রয়েছে। এটিও হেরিটেজ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত হবে।
সূত্র জানাচ্ছে, এইসব করিডোরগুলি পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির সাথে যুক্ত। আগে এগুলো ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন হেরিটেজ লাইন হিসাবে বজায় রাখা হবে। এইসব রুটগুলি সৌন্দর্যের বিচারে ভারতীয় রেলপথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ। হেরিটেজ লাইনে উন্নীত হলে করিডোরগুলির কদর বাড়বে। পর্যটনে উন্নতি করতে এইপথে ব্যবস্থা করা হবে আরামদায়ক রেল কামরা। প্রকৃতিকে ভালভাবে দেখার জন্য কামরায় থাকবে বড় বড় স্বচ্ছ জানালা। দু’পাশের দৃশ্য তো বটেই, সিলিংয়েও থাকবে স্বচ্ছ ছাদ। রেল দপ্তরের আশা, হেরিটেজ মর্যাদা পেলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এইসব দ্রষ্টব্যগুলি।
ছবি সৌজন্যেঃ সৌভিক দে
Facebook Comments