শনিবার ২৮ নভেম্বর ২০২০ ফের আক্রান্তের সংখ্যার থেকে সুস্থতার সংখ্যা বেশি রেকর্ড করা হল। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাটি কমল। নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটিও গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তো কমেইনি, উলটে বেড়েছে। ফলে সংক্রমণের ব্যাপ্তি ধীরে ধীরে কমছে, এটা বলাই যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩ লক্ষ ৫১ হাজার ১০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩২২ জন। গত কয়েক দিন ভারতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটি ৪৩-৪৪ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। সেটা শনিবার অনেকটাই কমল। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাটি ৬১৫ কমেছে। দেশে এখন মোট রোগীর মধ্যে মাত্র ৪.৮৬ শতাংশের চিকিত্সা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ হাজার ৪৫২ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হলেন ৮৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৬৯ জন। ভারতে বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৩.৬৭ শতাংশ। দেশে কোভিডে মৃতের সংখ্যাটি শুক্রবারের থেকে শনিবার আরও কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৪৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। এর ফলে দেশে এখন মোট মৃতের সংখ্যা হল ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২০০। দেশে এখন মৃত্যুহার রয়েছে ১.৪৫ শতাংশে।
শুক্রবারের পর শনিবারও সংক্রমণের শীর্ষে থাকল মহারাষ্ট্র। যদিও এর পেছনে ব্যাপক ভাবে টেস্ট বাড়াও অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে একটা সময়ে দৈনিক সংক্রমণের হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ থাকত, সেটাই বর্তমানে ৭ শতাংশের নীচে এসে গিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের হারে কিন্তু দিল্লিও স্বস্তি দিচ্ছে। গত তিন দিন ধরে রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৮-৯ শতাংশে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সব থেকে বেশি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্র (৬,১৮৫), দিল্লি (৫,৪৮২), কেরল (৩,৯৬৬), পশ্চিমবঙ্গ (৩,৪৮৯), রাজস্থান (৩,০৯৩), উত্তরপ্রদেশে (২,২৯৮), হরিয়ানা (২,১৩৫)।
Facebook Comments