২০৪৮ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ১.৬ বিলিয়ন বা ১৬০ কোটি। ২০১৭ সালে যা ছিল ১.৩৮ বিলিয়ন। বুধবার (১৫ জুলাই) অনলাইনে ল্যানসেট সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে ভারত হবে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। এসময় দেশের কার্যক্ষম জনসংখ্যা কমে যেতে পারে। ভারতে ২০-৬৪ বছর বয়সের যারা কাজ করতে পারেন এমন মানুষের সংখ্যা ২০১৭ সালে ছিল প্রায় ৭৬২ মিলিয়ন। যা ২১০০ সালে কমে ৫৭৮ মিলিয়ন হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে ওই সমীক্ষাতে।
জিডিপির নিরিখে ২১০০ সালে বিশ্বে ভারত সপ্তম অবস্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বলা হয়েছে, জন্ম বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালেই ২.১ ভাগ কমেছে। ২০৪০ সাল পর্যন্ত এই হারেই তা কমতে থাকবে। মোট জন্ম বৃদ্ধির হার ২১০০ সালে কমে হতে পারে ১.২৯। তবুও দেশটিতে জনসংখ্যা বাড়বে। সমীক্ষায় ২১০০ সালে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম ইমিগ্রেশন দেশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, ভারত ত্যাগের চেয়ে দেশটিতে অভিবাসী মানুষের হার বেশি।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা ২০৬৪ সালের মধ্যে ৯.৭ বিলিয়ন বা ৯৭০ কোটি স্পর্শ করতে পারে বলে। শতাব্দীর শেষ দিকে তা অবশ্য কমে হবে ৮.৮ বিলিয়ন হতে পারে। জাপান, ইতালি, স্পেনসহ ২৩ দেশের জনসংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি কমে যেতে পারে। বিশ্বে জন্মহার হার ২০১৭ সালে ছিল ২.৩৭। ২১০০ সালে তা কমে ১.৬৬ হতে পারে বলে অনুমান করা হয় ওই সমীক্ষায়। আর ন্যূনতম নিম্ন হার হবে ২.১।
আইএইচএমই ডিরেক্টর ড. ক্রিস্টোফার মুরের নেতৃত্বে এই সমীক্ষা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘ভারতে জনসংখ্যার এই বিস্ফোরণ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যা বৃদ্ধির ইঙ্গিত করছে।’
Facebook Comments