সংগঠনটি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা এবং বাংলাদেশে অন্যান্য বিতর্কের সাথে ইসকনের নাম যুক্ত করার বিষয়টি তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে। ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বা কোনো বিক্ষোভের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি এসব অভিযোগকে মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক এবং প্রতিষ্ঠানের মানহানির অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে চারু চন্দ্র দাস জানান, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ইতিমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তার কর্ম বা বক্তব্যের জন্য সংগঠন দায়ী নয়। সংবাদ সম্মেলন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ইসকন বাংলাদেশ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
📌তথ্য অনুযায়ী, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস চট্টগ্রামে শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধাম পরিচালনা করতেন। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় এবং চট্টগ্রামের একটি আদালত তাকে আটক করার নির্দেশ দেয়। এটাকে জাতির সার্বভৌমত্বের অপমান বলে মনে করা হয়।
https://x.com/MrSinha_/status/1862071453858123890?t=pe7JTgSrtD7ktz3cxD9v2A&s=19
চারু চন্দ্র দাস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ও খুনের সঙ্গে ইসকনকে ভুলভাবে যুক্ত করা হচ্ছে। কিছু গোষ্ঠী সংগঠনটির উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি করছে, যাকে ইসকন ভুল বলেছে। ইসকন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত নেতারা আর সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। চট্টগ্রামে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় পতাকার ওপর জাফরান পতাকা উত্তোলনের ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোচিত হয়। এ ঘটনার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক সমালোচনা বেড়ে যায়। এটিকে “রাষ্ট্রদ্রোহী” কাজ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ 18 জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সূত্রঃ এবিপি
Facebook Comments