রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের মোক্ষম জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানালেন, এটা অহংকার নয়। এটা আত্মবিশ্বাস। ভারতীয় কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন। মোদী সরকারের অধীনে পরিষেবা পরিবর্তিত হয়েছে। তাঁরা সরকারি আদেশ গুলির অনুসরণ করছেন। কিন্তু ইউরোপীয় কর্মকর্তারা যেমন আশা করেন, সেরকম নয়। বরং নিজেদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে বিদেশি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জাতীয় স্বার্থকে রক্ষা করছেন।
বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানালেন, ‘ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা পরিবর্তিত হয়েছে। হ্যাঁ, তাঁরা সরকারের নির্দেশ পালন করেন। হ্যাঁ, তাঁরা অন্যদের যুক্তি বদলান। এটাকে অহংকার বলে না। এটাকে আত্মবিশ্বাস বলে। এটাকে বলা হয় জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা।’ প্রসঙ্গত বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ভিন দেশে গিয়ে দেশের বিদেশনীতি ও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেন তারই জবাবে বিদেশমন্ত্রীর এই ট্যুইট।
Yes, the Indian Foreign Service has changed.
Yes, they follow the orders of the Government.
Yes, they counter the arguments of others.
No, its not called Arrogance.
It is called Confidence.
And it is called defending National Interest. pic.twitter.com/eYynoKZDoW
— Dr. S. Jaishankar (Modi Ka Parivar) (@DrSJaishankar) May 21, 2022
প্রসঙ্গত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের যে অবস্থান, তাতে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গেছে একাধিক পশ্চিমী দেশগুলোকে। ইউরোপের কিছু দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকার পরও রাশিয়ার সঙ্গে কঠোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভারত প্রত্যাখ্যান করেছিল। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেনি। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দিয়ে ভোট দান থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল ভারত।
আবার, রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করার বারবার চাপ সত্বেও, ভারত তা করেনি। অর্থাত্, এ ক্ষেত্রে নিজের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের এই অবস্থান মোটেই ভাল চোখে দেখতে পারছে না বেশকিছু পশ্চিমী রাষ্ট্র। যে কারণে রাহুল গান্ধীকে লন্ডনে কেউ মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় কর্মকর্তারা অহংকারী হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এ ক্ষেত্রে ভারতের পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁদের সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করেছেন রাহুল গান্ধী। যার জবাব দিলেন বিদেশ মন্ত্রী।
Facebook Comments