করোনা আবহের মধ্যেই আজ পুরীতে রথযাত্রা। রথ হল গতিময় জীবনের প্রতীক। সেই রথে প্রভু নিজে কিন্তু খর্বাকৃতি। তিনি বামনরূপ ধারণ করেন যাতে সহজেই সাধারণ মানুষ তাঁকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। মন্দির থেকে দেবতা নিজে নেমে আসেন ভক্তদের দর্শন দিতে। গত বছরের মতো এবারও ভক্তশূন্য পুরীর রথযাত্রা। প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু করোনা বিধিনিষেধ। এবার পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন সীমিত সংখ্যক সেবায়েত ও কর্মী। রথযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেকের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ও টিকাকরণের সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। বিশেষ ধরনের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় জগ্গনাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা- এই তিন দেবদেবীর তিনটি রথ।
জগন্নাথদেবের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’। বলভদ্রের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। আজকের এই রথযাত্রায় অংশ নেন ৩ হাজার সেবায়েত, থাকছেন ১ হাজার কর্মী। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রশাসক জানিয়েছেন , সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে এবং ওড়িশা সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, গত বছরের মত এবছরও ভক্তহীন পুরীর রথযাত্রা।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে,, যে সেবায়েতদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গেছে, শুধুমাত্র তাঁরাই রথের রশি ছুঁতে পেরেছেন । রথযাত্রা উপলক্ষে রয়েছে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। প্রায় এক হাজার কর্মী রয়েছেন নিরাপত্তায়। এছাড়া প্রচুর পুলিশও মোতায়েন রয়েছে গোটা জেলায় ।
রবিবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুরীতে জারি কার্ফু। ওড়িশা সরকার নির্দেশ জারি করে সব হোটেল, লজ, গেস্ট হাউজ খালি করে দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Facebook Comments