বামপন্থী কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভার ‘জেল ভরো এবং আইন অমান্য কর্মসূচি’তে উত্তাল হয়ে উঠলো মেদিনীপুর শহর। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে কৃষকের ফসলের নায্য দাম নির্ধারণ, কৃষকদের ঋণমুক্তি আইন, রেগায় কমপক্ষে ২০০দিনের কাজ, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মাসিক নূন্যতম ১৮ হাজার টাকা মজুরি, দেশজুড়ে কৃষকদের আত্মহত্যা প্রতিরোধ সহ কৃষকদের নানা দাবিতে সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্ব কৃষকদের নানা দাবির ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার জেল ভরো আন্দোলন হল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সদর মেদিনীপুর শহরে।
এদিন সকাল ১০টা থেকে শহরের বিদ্যাসাগর হলে কৃষক সভার কর্মী সমর্থক ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সদস্য সমর্থকরা ভীড় জমাতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১০টার নাগাদ প্রায় হাজার দশেক কর্মী সমর্থকের মিছিল বিদ্যাসাগর হল ময়দান থাকে শুরু হয়ে স্টেডিয়াম রোড, নানুর চক, বি.এড কলেজ রোড হয়ে জেলা শাসকের দপ্তরের দিকে এগোতে থাকে। সেখানে পুলিশের চারস্তরীয় ব্যারিকেড ভেদ করে কৃষক সভার সমর্থকের একাংশ জেলা শাসক দপ্তরের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধ্বস্তাধ্বস্তির সময় ও লাঠির আঘাতে আহত হন বেশকিছু আন্দোলনকারী। আহতদের মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। এরমধ্যে ৫ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে। সামান্য আঘাতপ্রাপ্তদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়
। পুলিশ সব আন্দোলন কারীদের গ্রেপ্তার করে এবং পুনরায় সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়। বৃহস্পতিবারের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য নেতৃত্ব তরুণ রায়, জেলা সম্পাদক মেঘনাদ ভূঞ্যা, জেলা সভাপতি সুভাষ দে, সিটুর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ দাস, সভাপতি কালী নায়েক সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচির শেষে হাসপাতালে ভর্তি কর্মীদের দেখতে যান জেলা বাম আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব তরুণ রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ছবি – সারা ভারত কৃষক সভার সৌজন্যে
Facebook Comments