মহারাষ্ট্র ও উত্তরাখণ্ডের পর এবার প্রবল বর্ষণ হল কাশ্মীরে। কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টির দাপট চলছিল। বুধবারে হোনজার গ্রামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নামে। এতে বহু বাড়ি জলের তলায় চলে যায়। প্রশাসন জানিয়েছে প্রায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জন আহত এবং ৪০ জন গ্রামের লোক নিখোঁজ। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশংকা। এছাড়া প্রবল বৃষ্টি ও হড়কা বানে হিমাচল প্রদেশের বিশাল এলাকা বন্যায় ভেসে গিয়েছে এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কিস্তওয়ার-এর এসএসপি,শাফকাত ভাট জানিয়েছেন, চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনেরও বেশি নিখোঁজের সম্ভবনা রয়েছে।তিনি বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জম্মু অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাইয়ের শেষ অবধি আরও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, কিস্ত্বারের আধিকারিকরা জলাশয় এবং ভূমিধ্বস-প্রবণ অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী লোকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। আবহাওয়া দপ্তর আগামী দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে, নদী ও স্রোতে জলের স্তর বৃদ্ধি পাবে বলে নদী, নালা, জলাশয় এবং ভূমিধ্বস-প্রবণ অঞ্চলের কাছাকাছি বাসিন্দাদের জন্য সতর্কতাবানি জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিস্ত্বরের এই ঘটনা সম্পর্কে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং ডিজিপির সাথে কথা বলেছেন। এসডিআরএফের দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এসডিআরএফ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনি বলেছেন যে আমাদের অগ্রাধিকার হ’ল যথাসম্ভব জীবন বাঁচানো।
একই সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনার বিষয়ে বলেছিলেন যে, কিস্তদ্বার ও কারগিলের এই ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে অব্যাহত সহযোগিতা চলছে।দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
Facebook Comments