কেরালার কোচিতে গত কয়েকদিন ধরে যিহোবার সম্প্রদায়ের লোকদের অনুষ্ঠান চলছিল এবং আজ ছিল তার শেষ দিন। আজ সকাল ৯টা নাগাদ কর্মসূচি শুরু হলেই একের পর এক তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এসব বিস্ফোরণে এক নারীসহ দুইজন নিহত এবং ৩৫ জনের বেশি আহত হয়। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে এবং তাদের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণ মামলায় একজন ব্যক্তি দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। ওই ব্যক্তির নাম ডমেটিক মার্টিন। মার্টিন কেরালার ত্রিশুর জেলার কোডাগড় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এবং বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে।
◼️কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ‘যারা বিষাক্ত তারা বিষ ছড়াতে থাকবে। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন যে আমি তুষ্টির রাজনীতি করছি এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। তিনি একজন মন্ত্রী এবং তার উচিত তদন্তকারী সংস্থাকে কিছুটা সম্মান দেওয়া। তদন্ত চলছে। এত গুরুতর ঘটনায় এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কিছু মানুষকে লক্ষ্য করে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা তাদের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার উপর ভিত্তি করে কিন্তু কেরালায় এমন কোন এজেন্ডা নেই, কেরালা সবসময় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কিসের ভিত্তিতে এই লোকেরা একটি সম্প্রদায়কে টার্গেট করে একটি নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেল দিচ্ছে। যখন তদন্ত চলছে, তখন তখন কীসের ভিত্তিতে তিনি এমন বক্তব্য দিচ্ছেন?
◼️কালামাসেরি বিস্ফোরণে আরও একজন নিহত হয়েছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ছিল ২ জন। কেরালার জনসংযোগ দফতর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
◼️ কেরালার বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি। আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত সমাজে, গণতন্ত্রে এই জিনিসগুলি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। যেভাবে অশান্তি ছড়াতে এই বিস্ফোরণকে ব্যবহার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে বলে আমি নিশ্চিত।
◼️একজন ব্যক্তি কেরালার ত্রিশুর জেলার কোডাগড় থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এবং বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছেন। পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তার দাবি তদন্ত করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির নাম ডমেটিক মার্টিন। পুলিশের মতে, তিনি যিহোবা সম্প্রদায়ের। তাকে গুরুত্ব সহকারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
◼️কালামাসেরি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, ‘৫২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখানে 30 জন ভর্তি আছেন, যাদের মধ্যে 18 জন আইসিইউতে এবং 6 জন গুরুতর আহত। এই 6 জনের মধ্যে একজন 12 বছরের শিশু। বাকি আহতরা অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
Facebook Comments