পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের মুগবসান অঞ্চলের কুচিয়াড়া গ্রামের বছর বাহান্নর সেখ মোসলেম আলী নিজের উদ্যোগে বাইকে ঘুরে ঘুরে করোনা সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায়। তিনি কেশপুরের ভ্রাম্যমাণ করোনা সচেতনতার প্রচারক। এলাকার মানুষের কাছে তিনি ‘মশাল” নামে অধিক পরিচিত। নিজের উদ্যোগে নিজস্ব মোটর বাইকে মাইক্রোফোন, সাউন্ডবক্স লাগিয়ে গোটা কেশপুর চষে বেড়িয়ে করোনা সচেতনতার প্রচার করছেন। বাইকের সামনে রয়েছে করোনা সচেতনতার প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা লকডাউন মেনে চলুন, বাড়িতে থাকুন।সরকার আপনার পাশে আছে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলবেন না। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে বেরোবেন না। জনতা কার্ফুর দিন থেকেই তিনি এই প্রচার শুরু করেন এবং প্রায় প্রতিদিনই ঘন্টা তিনেক বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার সারছেন মোসলেমবাবু।
প্রথম দিকে কয়েকদিন অনুমতি না নিলেও বর্তমানে প্রশাসনিক স্তরে অনুমতি নিয়েই প্রচার করছেন মোসলেম। মোসলেম ১৯৮৬ সাল থেকে কেশপুরের বাজুয়ারা জাগরণী যুব সংঘের সভাপতি। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় পড়ার সময় এন সি সি করেছেন। খেলাধুলার পাশাপাশি রেফারিং ও করতেন। এখন পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট রেফারি এসোসিয়েশন কোর কমিটির সদস্য। অংকে স্নাতক মোসলেম ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সরকারী উদ্যোগে চলা স্বাক্ষরতা ও রোধপ্রতিষেধক কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছেন। এখন মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত আছেন। স্ত্রী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী এবং দুই মেয়ে পড়াশুনা করছে। সেখ মোসলেম আলী বলেন, গ্রামের মানুষকে এই ভয়াবহ করোনার প্রকোপ সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এই মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমার এই সচেতনতার প্রচার কর্মসূচি। তিনি আরো বলেন, সমাজিক কাজকর্ম করা আমার নেশা। পাশাপাশি জানান,সরকারি সহযোগিতা পেলে তাঁর পক্ষে আরো বেশি করে সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করতে সুবিধা হবে। করোনা নিয়ে তাঁর এহেন উদ্যোগ এলাকার মানুষের প্রসংশা কুড়িয়েছে।
বাইকে চড়ে করোনা সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন কেশপুরের ‘মশাল’

Facebook Comments