রশিদ খান। এই একটা নাম কখনো ভুলতে পারবে না নাইট রাইডার্স ভক্তরা। ভোলা সম্ভব কীকরে। এই একটা ছেলেই যে এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে দিল কলকাতাকে। একজন ক্রিকেটার তার স্বপ্নের দিনে কী কী করতে পারে, তার সবথেক বড় প্রমাণ কাল রাতের ইডেনের রশিদ।
আফগানিস্তানের এই স্পিনারই একার হাতে শেষ করে দিন নাইটদের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। ব্যাটে, বলে ও ফিল্ডিং এই তিনটি বিভাগেই গতকাল রশিদ একাই টেক্কা দিলেন দীনেশ কার্তিকদের। ফলস্বরূপ, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে ১৪ রানে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নিল কিং খানের টিম। এদিন টসে জিতে হায়দ্রাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নাইট অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কার্তিকের এই সিদ্ধান্তকেও ম্যাচ হারার অন্যতম প্রধান কারন বলে মনে করছেন অনেকে। ব্যাট করতে নেমে এদিন কেকেআর বোলারদের সামনে প্রায় আটকেই ছিল হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম থেকেই শ্লথ গতিতে চলতে থাকে হায়দ্রাবাদের ইনিংস। হায়দ্রাবাদের ইনিংসের ১৭ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে নাইটদের একছত্র আধিপত্য। ১৭ ওভারের শেষে হায়দ্রাবাদের রান ৫ উইকেটে ১২৪। এর পরেই মাঠে নামেন রশিদ খান। চাপের মুখে ১০ বলে ৩৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে এদিন হায়দ্রাবাদকে লড়াই করার মতো শক্তি জুগিয়ে দিয়ে গেলেন। তার এই ইনিংসে রয়েছে ২ টি বাউন্ডারি ও ৪ টি ওভার বাউন্ডারি। ১৭ ওভারে ১২৪ থেকে রশিদের এই ইনিংসের দৌলতে ২০ ওভার শেষে হায়দ্রাবাদের রান গিয়ে দাঁড়াল ১৭৪। শেষ তিন ওভারে কেকেআর বোলাররা দিলেন ৫০ রান। যেটাই এই ম্যাচের প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালোই করেছিল কেকেআর। নাইটদের দুই ওপেনার ক্রিস লিন সুনীল নারাইন ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। ১৩ বলে ২৬ রান করে সিদ্ধার্থ কলের বলে আউট হল সুনীল নারাইন। এর পরেই আবার শুরু রশিদ ম্যাজিক। ব্যাট হাতে কামাল দেখানোর পরে এবার বল হাতে কেরামতি দেখানো শুরু। এদিন ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ তি উইকেট নিলেন রশিদ। এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি নাইটদের ব্যাটিং লাইন আপ। দ্রুত একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। নাইটদের অন্যতম বড় ভরসা আন্দ্রে রাসেলও টিমকে এই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখ থেকে উদ্ধার করতে পারলেন না। এদিন রাসেলের সংগ্রহ ৭ বলে ৩ রান। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিল শুভমান গিল কিন্তু তার ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংসটাও নাইটদের জয়ের মুখ দেখাতে পারল না।
ছবি সৌজন্যে- সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ফেসবুক পেজ
Comments