কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানিরধল এলাকা থেকে সাদ্দাম সর্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও। সিপিএম নেতার মাছের ভেড়ির আলা ঘর থেকে গ্রেপ্তার সাদ্দাম। জানা গিয়েছে, মাছের ভেড়ির ওই আলা ঘরেই আশ্রয় নিয়েছিল সাদ্দাম।
কুলতলী থানার পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে বুধবার রাত্রে ভেড়ি ঘিরে আলা ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে সাদ্দাম ও মান্নানকে।প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পগনার কুলতলিতে নকল সোনার কারবার চলছে বলে বেশকিছুদিন ধরেই খবর আসছিল পুলিশের কাছে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিুশ। অভিযোগ, পুলিশ ওই গ্রামে গেলে পুলিশের উপর চড়াও হয় সাদ্দামের লোকজন। এমনকী সেই সময় সাদ্দামের ভাই গুলি চালায় বলেও অভিযোগ।
পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। ততক্ষণে অবশ্য পালাতে সক্ষম হয় সাদ্দাম ও তার সহযোগীরা। এরপর সাদ্দামের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। সেখানে সাদ্দামের খাট সরাতেই নজরে আসে এক সুড়ঙ্গ।
সেই সুড়ঙ্গ পাশের খালের সঙ্গে যুক্ত। ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই সাদ্দাম ও তার ভাই পালিয়েছে বলে অনুমান করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাদ্দামের স্টিলের খাটের নীচে ওই সুড়ঙ্গটি পাওয়া যায়। সেই সুড়ঙ্গে কংক্রিটের পথ তৈরি করা হয়েছে যা ১৫ ফুট দূরের একটি খালের সঙ্গে যুক্ত। সুড়ঙ্গ হদিশ পেতেই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশের অনুমান, যে কোনওরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যাতে সে ধরা না পড়ে, এবং পালাতে সক্ষম হয়, সেই কারণে আগে থেকে পরিকল্পনা করেই ওই সুড়ঙ্গ তৈরি করে রাখা হয়েছে।মূলত, আসল সোনার মূর্তির ছবি দেখিয়ে নকল মূর্তি বিক্রি থেকে শুরু করে ডাকাতি, একাধিক অভিযোগ রয়েছে সাদ্দাম সর্দারের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাদ্দামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ধাতু গলানোর যন্ত্র। তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তা হল বিগত ১৫ বছর ধরে নকল সোনা বিক্রির ব্যবসা চালাত সাদ্দাম। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই মূলত নকল সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ ফেলা হত।
তাদের মূল টার্গেট ছিল ব্যবসায়ীরাই। এরপর নির্জন জায়গায় ডেকে, নকল মূর্তি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত সাদ্দাম বা তার শাগরেদরা। পুলিশি অভিযানে হামলার ঘটনার পর থেকেই সাদ্দামের খোঁজে তল্লাশি জারি ছিল। অবশেষে পুলিশের জালে উঠল সাদ্দাম সর্দার।
Facebook Comments