আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুক্রবার কুণাল ঘোষ বনাম রাজ্য সরকারের এই মামলার শুনানি ছিল বিশেষ আদালতে। এদিন আদালত প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে দোষ প্রমাণিত হলেও শাস্তি হচ্ছে না কুণাল ঘোষের। সামাজিক সম্মানের কথা ভেবেই তাঁর শাস্তি মকুব করা হয়েছে।
কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলার সূত্রপাত? ২০১৪ সালে সারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি ছিলেন কুণাল ঘোষ। ওই বছর ১৪ নভেম্বর জেলের মধ্যেই আত্মহত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করে হেস্টিংস থানার পুলিশ। কুণালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৯ নং ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
জেলে থাকাকালীন ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সেদিন এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তাঁর পেটে ঘুমের ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল। শুক্রবার সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলারই শুনানি ছিল।
রায় ঘোষণা করে বিচারক মনোজিৎ ভট্টাচার্য জানান, মেডিকেল নথি থেকে এটা প্রমাণিত যে সেদিন কুণাল ঘোষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এই ধরণের মামলায় দোষীদের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ দু’বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা হয়ে থাকে। তবে কুণাল ঘোষ বনাম রাজ্য সরকারের এই মামলায় কুণাল ঘোষের শাস্তি মকুব করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রর সামাজিক সম্মানের বিষয়টি বিবেচনা করে শাস্তি থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
বিচারকের সংযোজন, “কুণালের আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক ছিল না। কারণ আত্মহত্যা কখনওই কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তখন তাঁর মানসিক পরিস্থিতি কেমন ছিল, সবটাই দেখার বিষয়। ওঁকে বলব, এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। আপনি যে লড়াই করছেন, করুন। যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যায় সমস্যার সমাধান হয় না। আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আপনার কাছ থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে।”
Facebook Comments