পুরভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী রোববার (১৯ ডিসেম্বর)। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল ১৪৪টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। তাই কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, প্রচারের ঝড় তুলল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমুল কংগ্রেস। শেষ দিনে পথে নামলেন শাসক দলের শীর্ষ নেতারা। ভোট শুরুর আগেই ১৪৪ ধারা বলবৎ করবে কলকাতা পুলিশ। পুরভোটের প্রচার শেষ হচ্ছে আজ, শুক্রবার বিকেল ৫টায়। ১৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রবিবার ভোটগ্রহণ পর্ব সাঙ্গ হওয়ার আগে পর্যন্ত ‘ড্রাই-ডে’ বিধি বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ ওই সময় কলকাতা পুর এলাকায় মদের দোকান বা বার খোলা থাকবে না।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাড়ে চার কিলোমিটার রোড শো করলেন বিজেপির শক্ত ঘাঁটিগুলোতে। মূলত বামফ্রন্ট আমল থেকেই কলকাতার বড়বাজার এলাকার ওয়ার্ডগুলো দীর্ঘদিন ধরেই জয়ী হয়ে আসছেন বিজেপি কাউন্সিলররা। সেই ট্রাডিশন মমতার আমলেও বহাল রেখেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভিতকেই নড়িয়ে দিতে বড়বাজারে রোড শো করলেন।
অপরদিকে, নির্বাচনে দুই দিনে চারটি জনসভা করেছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শেষের ২৪ ঘণ্টা আগে তিনটি সভা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কলকাতার দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে সভাগুলো থেকে মমতা বলেন, কাউন্সিলরকে মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে হবে। গাড়িতে ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না।
সেই সঙ্গে দলের ভাবী কাউন্সিলরদের প্রতি তৃণমূলনেত্রীর সতর্কবার্তা, অনেকে ভাবে ৫০টা গাড়ি বানাই। কী দরকার? অনেকে ভাবে, যত পারি জমিয়ে যাই। যাদের কাছে এই টাকা রাখা হয়, মরে গেলে সেই টাকাও তো গেল! কী লাভ এসব করে? এছাড়া একাধিক না হওয়া কাজ কীভাবে ভাবী কাউন্সিলর শেষ করবে তা-ও প্রকাশ্য জনসভাগুলো থেকে বলেন মমতা।
শেষবেলায় উত্তর কলকাতায় প্রচারের দায়িত্ব ছিল দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই। তবে ভোটের ফল বের হওয়ার আগেই বিরোধীদের কর্মসূচি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের কলকাতা করপোরেশন কুর্সিতে বসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Facebook Comments