ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন নিয়ে একটি বড় উদ্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে। দেশে একযোগে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন করার কথা আগেই বলা হচ্ছিল। আইন কমিশন 2018 সালে তার প্রতিবেদনে এটির পক্ষে কথা বলেছিল।
আইন কমিশনের পরামর্শ
◼️ লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার জন্য একযোগে নির্বাচন হওয়া উচিত। এটা দেশকে একটানা নির্বাচনী মোডে থাকা থেকে রক্ষা করবে। এতে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চাপ কমবে।
◼️ একযোগে নির্বাচন হলে সরকারের নীতির আরো ভালো বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রচারণার বদলে উন্নয়নের দিকে নজর দিতে পারবে।
◼️ সংবিধানের বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে একযোগে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এর জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে।
◼️ নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারকে প্রধান নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করতে হবে। একযোগে নির্বাচনের তফসিল যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার জন্য একযোগে নির্বাচন হওয়া উচিত।
◼️ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, 1951-এর বিধান সংশোধন করতে হবে যাতে একটি ক্যালেন্ডারে পতিত সমস্ত উপ-নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনের সামনে এগুলোই চ্যালেঞ্জ
◼️ এক দেশ, এক নির্বাচন বাস্তবায়নে সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। সংসদের কক্ষগুলির সময়কাল, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক লোকসভা ভেঙে দেওয়া, রাজ্য বিধানসভাগুলির সময়কাল, রাজ্য বিধানসভাগুলি ভেঙে দেওয়া সম্পর্কিত নিবন্ধ এবং রাজ্যগুলিতে রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ সংক্রান্ত 356 অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে।
◼️ এক জাতি, এক নির্বাচন বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে এক প্লাটফর্মে আনতে হবে।
◼️ ভারতের 22 তম আইন কমিশন 2022 সালের ডিসেম্বরে দেশে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, আমলা, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞদের জন্য ছয়টি প্রশ্নের একটি সেট তৈরি করেছে। কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
Facebook Comments