মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ভব ঠাকরে। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্ট আস্থা ভোটের উপর স্থগিতাদেশ না দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই ফেসবুক লাইভে এসে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন উদ্ভব ঠাকরে। বৃহস্পতিবারই আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ইস্তফা দিলেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উদ্ভব ঠাকরে ইস্তফাপত্র রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়াড়ির কাছে পৌঁছে দিতে রাজভবনের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের শিবসেনার এক মন্ত্রী।
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার শুনোনির পর বুধবার রাত ৯টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জেবি পাড়িয়ালার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যপাল ভগত্ সিং কোশিয়াড়ির নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই বিধানসভায় আস্থাভোট নিতে হবে উদ্ভব ঠাকরে সরকারকে। কিন্তু সেই নির্দেশের কিছুক্ষণের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এর সঙ্গে সঙ্গেই পতন হল ৩১ মাসের মহা বিকাশ আঘাড়ি জোট (শিবসেনার, এনসিপি এবং কংগ্রেস) সরকারের। উদ্ধবের ইস্তফার ঘোষণার ফলে মহারাষ্ট্রে গত ১০ দিন ধরে চলা রাজনৈতিক নাটকেও যবনিকা পড়ল।
বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ফেসবুক লাইভে এসে আবেগতাড়িত হয়ে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে উদ্ভব ঠাকরে বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আমার কোনও আফসোস নেই। কারণ আমার সঙ্গে শিবসেনা আছে। যারা কাছে ছিল, তারাই আজ দূরে। আর যারা দূরে ছিল, তারাই আজ কাছে। যাদের জন্য আমি এত কিছু করেছি তারাই আজ আমার বিরোধিতা করছে। অনেককে পান বিক্রেতা, অটো চালক থেকে আমি বিধায়ক, মন্ত্রী বানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে তাদের কিসের এত রাগ? আমি জানি না।’ নিজের বক্তব্যে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কংগ্রেস এবং এনসিপি-কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরই অসম থেকে গোয়া পৌঁছেছেন একনাথ শিন্ডে সহ সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়করা। উদ্ভব ঠাকরে পদত্যাগ করায় বৃহস্পতিবার আর আস্থা ভোটের প্রয়োজন পড়বে না। তাই ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং বিদ্রোহী শিবিরে সরকার গঠনের জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বুধবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসবেন উদ্ভব ঠাকরে।
Facebook Comments