ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখা করতে মঙ্গলবার (৬ জুন) কটকের হাসপাতালে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শশী পাঁজা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এগারো শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এখনও অনেকে চিকিত্সাধীন।
এদিন আহতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন বিতর্ক করার সময় নয়। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব সত্য বেরিয়ে আসুক। কোনও কিছু যেন ধামাচাপা দেওয়া না হয়।’
তিনি আরও বলেন যে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার একসাথে কাজ করছে। তারা বিনামূল্যে চিকিত্সা পাচ্ছেন। আমি এখানে ১০০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ৪০ জন আধিকারিক পাঠিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের ১০৩ টি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ৯৭ জনের চিকিত্সা চলছে। ৩১ জন এখনও নিখোঁজ।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রেন দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের আমরা চাকরি দেব। এর পাশাপাশি মৃতদের স্বজনদেরও চাকরি দেওয়া হবে। সিবিআই তদন্ত নিয়ে কিছু বলার নেই। এত মানুষ মারা গেছে, সত্য বেরিয়ে আসা উচিত্। এখনই সময় পরিবারগুলোকে সাহায্য করার। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করা সবচেয়ে জরুরি।’
তিনি বলেন যে, ‘আপাতত তাদের ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এর পরে, তাদের ৩ মাস ২০০০ টাকা দেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার পাশাপাশি চাল, ডাল ইত্যাদি তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যেসব মানুষ, তাদের পরিবারের একজনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। এর সঙ্গে যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাদেরও হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সবরকম সাহায্য করা হবে। নিহতদের পরিবারের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বাংলা সরকার এর পূর্ণ যত্ন নিচ্ছে।’
Facebook Comments