গত কয়েকদিন ধরে বন্যায় ভাসছে পশ্চিমবঙ্গের একাংশ। দুর্গতদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে হেলিকপ্টারে বুধবার হাওড়া ও হুগলি যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। কিন্তু আবহাওয়া পক্ষে না থাকায় সেই যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে। বদলে সড়কপথেই বানভাসিদের দেখতে রওয়ানা দেন মমতা। আমতায় গিয়ে নেমে পড়েন জলে, ওই অবস্থাতেই কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুসারে, এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর কথা ছিল মমতা ব্যানার্জির। ১২টা ১৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে চড়ে খানাকুলে যাওয়ার কথা ছিল তার। এজন্য আগেরদিন হেলিপ্যাডও তৈরি করা হয়েছিল। তবে বুধবার সেই হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে খবর আসে, আবহাওয়া খারাপ। এ কারণে সেই যাত্রা বাতিল করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপর গাড়িতে করেই উদয়নারায়ণপুরে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছান মমতা।
দুর্গতদের সঙ্গে বন্যার জলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশনের (ডিভিসি) জল ছাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এটিকে ‘ম্যান মেড’ বা মানবসৃষ্ট বন্যা বলেও উল্লেখ করেন মমতা।
তার অভিযোগ, ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে প্রবল বর্ষণ যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মমতা বলেন, বৃষ্টি বেশি হচ্ছে, তা ঠিক। কিন্তু এটি বর্ষার বন্যা নয়। এটি হচ্ছে জল ছাড়ার বন্যা। গত দুই বছর এখানে বন্যা হয়নি।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। ডিভিসির নির্বাহী পরিচালক সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দামোদর উপত্যকা বাঁধ নিয়ামক কমিটিতে ডিভিসির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছে। জল ছাড়ার আগে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের লিখিত অনুমতি নেয়া হয়। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হয়নি।
এদিন মমতা ব্যানার্জি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সাহায্য করা হবে।
Facebook Comments