প্রথম দফার ৩০টি আসনে যখন বাংলায় ভোটগ্রহণ চলছে, তখনই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় একটি অডিও টেপ ঘিরে। ওই অডিও টেপের সত্যতা প্রতিবেদক যাচাই করেনি। তবে রাজ্য বিজেপি-র দাবি, ফোনের একপ্রান্তে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য প্রান্তে বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। ওই অডিও টেপে শোনা যাচ্ছে, এক মহিলাকণ্ঠ (যা মমতার বলে দাবি) প্রলয়ের কাছে ভোটে সাহায্য করার আবেদন জানাচ্ছে। যদিও প্রলয় ওই আবেদনকারিনীকে বলছেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন না।
প্রসঙ্গত, নিজের দলের পুরোন কোনও কর্মীকে তাঁর প্রাক্তন নেতা বা নেত্রী ফোন করতেই পারেন। তাতে অন্যায় বা অস্বাভাবিক কিছু নেই। সেক্ষেত্রে ওই কণ্ঠস্বর যদি মমতারও হয়ে থাকে, তাতেও কিছু অস্বাভাবিক নেই। কিন্তু যে ভাবে ওই মহিলাকণ্ঠ তাঁকে সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছেন, তাতে এমন একটা ধারনা তৈরি হওয়ার অবকাশ রয়েছে যে, খানিকটা বিপাকে পড়েই ওই ফোন করা হয়েছে। পাশাপাশিই, যে শান্ত অথচ দৃঢ় ভাবে ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে সেই সাহায্যের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা-ও প্রণিধানযোগ্য। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে ভোট আগামী ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। তার আগে শনিবারেই ওই ফোন কথোপকথন হয়েছে বলে দাবি।
ইতিমধ্যেই ওই অডিও টেপটি নিয়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। দলের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটে দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে মমতা নিজের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এখন বিজেপি-কে ভাঙার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের পক্ষে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু বলতে পারেন বলে আমার মনে হয় না।’’ আবার প্রলয় নিজে প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘‘শনিবার সকালেই আমি দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পেয়েছি। উনি আমায় সাহায্য করতে বলেন। কিন্তু আমি ‘না’ বলে দিয়েছি।’’
Facebook Comments