ঝাড়খণ্ডে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করে ১৮ টুকরো করে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ২৮ বছর বয়সী দিলদার আনসারির বিরুদ্ধে। মৃত ওই যুবতী আদিবাসী বলে জানা গেছে। তার নাম রবিতা পাহাড়িন। খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বোরিও ব্লকের আঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পেছনে মানব দেহের টুকরো খেতে দেখা যায় কুকুরকে। এই ঘটনা দেখেই স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। এরপরই জানা যায়, এই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের অংশ রবিতার। এখনও পর্যন্ত দেহের ১৮টি দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। আরও বহু টুকরো রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তবে অনেক দেহাংশ আর মিলবে না বলে আশঙ্কা তদন্তকারীদের। প্রাথমিক তদন্তের পর আনসারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় দিলদার আনসারিসহ তার পরিবারের মোট ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দিলদারের মা মরিয়ম খাতুন শুক্রবার রবিতাকে বোরিও মাঞ্জ টোলায় তার ভাই মইনুল আনসারির বাড়িতে নিয়ে যান। যেখানে রবিতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর লোহা কাটার মেশিন দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়া হয়। তল্লাশি চালিয়ে শনিবার পুলিশ একটি আঙুল, কাঁধ, একটি নিতম্ব, একটি হাত, পিঠের নীচের অংশ, একটি ফুসফুস এবং পেটের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে। এদিকে এখনও মৃত তরুণীর মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মুখের নীচের অংশ মিলেছে। দুমকা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সুদর্শন মন্ডল এই বিষয়ে বলেন, ‘তদন্তে জানা গিয়েছে, দিলদার আনসারির পরিবার তার দ্বিতীয় বিয়েতে খুশি ছিল না। প্রাথমিক অনুমান, এই কারণেই এই খুন হয়ে থাকতে পারে।’
Facebook Comments