টানা বেশ কয়েকদিন থেকেই মণিপুর জুড়ে চলছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি পাত। থামার কোন নাম নিশানা ছিলই না। আগেই আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এমন সময়েই ধসের প্রবণতা বেশি থাকে। সতর্ক করার পরেই মণিপুরে নামল ধস। ধস নামার জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পথ দিয়ে সমস্ত যানবাহন চলাচল।
অন্যদিকে, ধসের কারণে বাধা পেয়েছে Ijai নদীর জল। Tamenglong এবং Noney জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ওই নদী। ধসে ওই এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে যেতে পারে ফলে ননে জেলার নিচু এলাকার ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছেন Noney জেলার ডেপুটি কমিশনার। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটক এবং সাধারণ মানুষদের Imphal-jiri হাইওয়ে অর্থাত্ ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ব্যবহার না করবার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
আরেকদিকে, ওই এলাকায় উদ্ধার কাজ এবং ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা এবং আসাম রাইফেলস। সেনার তরফে জানানো হয়, এদিন সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ধসের কারণে আহতদের চিকিত্সা করানো হচ্ছে Noney Army Medical unit-এ। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন ভর্তি। এদিকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। সেখানে উদ্ধার কাজের জন্যনিয়ে যাওয়া হয়েছে সেনার হেলিকপ্টার।
সেনা এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আবহাওয়া ঠিক হলেই হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার কাজ চালানো হবে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য গত কয়েকদিনে বৃষ্টিতে অসম, মেঘালয়, সিকিমে ধস নামে। সিকিমে ধসে মারা গিয়েছেন অন্তত ৫ জন। অসম এবং মেঘালয়ে ধসের কারণে মারা গিয়েছেন প্রায় ৫০ জন।
Facebook Comments