বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। ৩৩ বছর বয়সি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় বিভেদ’ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। বলিউডেরই এক কাস্টিং ডিরেক্টর আদালতে দায়ের করা আবেদনে জানান, ‘দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মনে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি’ করছেন কঙ্গনা। অভিযোগকারীর আবেদনের ভিত্তিতেই বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ফিটনেস ট্রেনার সাহিল আশরফআলি সৈয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেও ওয়াই ঘুলে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন।
সৈয়দ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ, ১২৪এ ধারায় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তাঁর যুক্তি, ‘তিনি (কঙ্গনা) এক জন সুপরিচিত অভিনেত্রী, তাঁর প্রচুর ভক্ত রয়েছে। তাই তাঁর টুইটগুলির মাধ্যমে এ ধরনের বার্তা অনেক বেশি লোকের কাছে পৌঁছে যাবে’।
সৈয়দ আবেদনে স্পষ্ট করে বলেছেন, অভিযোগগুলি ইলেকট্রনিক মিডিয়া- টুইটার এবং সাক্ষাত্কারে করা মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দিয়ে এই ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আবেদন বলেছেন, অভিনেত্রী এবং তাঁর দিদির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তদন্ত শুরু করতে ফৌজদারি বিধির প্রাসঙ্গিক ধারার প্রয়োগের দরকার রয়েছে’।
কঙ্গনা ‘হিন্দু শিল্পী ও মুসলিম শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন’, বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, ‘কঙ্গনা নিজের প্রায় সমস্ত টুইটের মধ্যে ধর্মকে টেনে নিয়ে আসছেন’। আবেদনকারী উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন পালঘরে হিন্দু সাধুদের উপর আক্রমণের ঘটনা, বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে ‘বাবরসেনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করার মতো বিষয়গুলিকে। আবেদনে নিজেকে কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে উল্লেখ করে সৈয়দ জানিয়েছেন, তিনি রামগোপাল বার্মা, সঞ্জয় গুপ্তা এবং নাগার্জুনের মতো স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘কঙ্গনার দিদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’টি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন’।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এফআইআর দায়েরের পর কঙ্গনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে যদি তথ্যপ্রমাণ মিলে যায়, তা হলে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
Facebook Comments