সুমধুর সঙ্গীতে মুগ্ধ হলেন মেদিনীপুর শহরের শ্রোতারা। শারদ উৎসবের প্রাক্কালে রবিবার মেদিনীপুর কলেজের বিবেকানন্দ হলে সঙ্গীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নান্দনিক’-এর উদ্যোগে ‘সুরের সন্ধ্যায়’ সুরভিত হলো প্রায় দর্শকপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ। নান্দনিকে’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পী সর্বানী হালদারের পরিচালনায় ১৮ টি গান পরিবেশিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মেদিনীপুর শহর শাখার মঠাধ্যক্ষ স্বামী মিলনানন্দ মহারাজ। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সংস্থার শিশু শিল্পীরা সমবেত ভাবে ৫ টি সঙ্গীত পরিবেশন করে এবং সঙ্গীতের সাথে সাথে নৃত্য পরিবেশন করে শহরের নৃত্যচর্চার বিশিষ্ট নির্দেশক-দম্পতি রাজনারায়ণ দত্ত ও শ্রাবণী দত্ত -এর সংস্থা ‘সৃজন ভূমি’-এর শিশু শিল্পীরা। তাদের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশন দর্শকদের মন জয় করে নেয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে সংস্থার বড়রা পরিবেশন করে স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি গান। এরপর শিল্পীরা একক ও সমবেত ভাবে ১২ টি গান পরিবেশন করেন। এই পর্বের অত্যন্ত মনোগ্রাহী পরিবেশনে একক সঙ্গীতে অংশ নেন সুলেখা বাস্কে, ডাঃ ব্রহ্মশ্রী দাস, মিতালী গোস্বামী, অজন্তা রায়, সুনন্দা দাস, মৃণাল চক্রবর্তী, জুঁই গোস্বামী এবং সর্বানী হালদার। অনুষ্ঠানের সর্বশেষ সঙ্গীতে বর্তমান এই অস্থির সময়েকে সামনে রেখে শান্তির বার্তাবহ ‘ ‘হও হিন্দু হও মুসলিম, মোরা একই নামে এক সন্তান’ এই হৃদয়স্পর্শী গানটি সমবেত ভাবে পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানের একটি বিশেষত্ব ছিল একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত ও অন্য তিনটি সঙ্গীত ছাড়া বাকি সব গানের কথা প্রয়াত গীতিকার দিলীপ হালদারের ও সেগুলিতে সুর দিয়েছেন সর্বানী হালদার। এই সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন শহরের প্রবীন ও নবীন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীগণ ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট জনেরা। উপস্থিত ছিলেন জয়ন্ত সাহা, সুনীল বেরা, হায়দার আলী, কিংশুক রায়, অনিন্দ্য সেন, প্রলয় বিশ্বাস, বাচিক শিল্পী অমিয় পাল, কবি নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়, ডাঃ হৃষিকেশ দে, অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী, রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ ওঝা প্রমুখ। যন্ত্র সঙ্গীতে সহযোগিতায় ছিলেন সন্দীপ সরকার, বিদ্যুৎ বিকাশ দাস, অসীম দত্ত, প্রদীপ কুমার সাহা ও অমিত দে। শিল্পী প্রদীপ কুমার বসুর তৈরি মঞ্চসজ্জা উপস্থিত সকলের মন জয় করে নেয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন এইসময়ের প্রতিশ্রুতিময়ী বাচিক শিল্পী বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়।
ছবি প্রদীপ বসু ও নান্দনিক সংস্থার সৌজন্যে
Facebook Comments