গভীর রাতে বাড়ি ফেরায় কথা বলতে পারেননি, দুর্নীতির টাকায় বাড়ি কিনিনি’, সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই দাবী করলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরাত জাহান। বুধবার তিনি বলেন, ”যে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাদের থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার ঋণ নিয়েছিলাম, সেই টাকায় বাড়ি কিনেছি।
২০১৭ সালের ৬ মে সুদ-সহ ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছি কোম্পানিকে। ব্যাঙ্কের নথিও আমার কাছে আছে। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আমি দুর্নীতিতে যুক্ত নই। আমি এক পয়সা নিলেও এখানে আসতাম না।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী একটি সংস্থার নাম বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সেই সংস্থার নামেই দুর্নীতি করেছিলেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত। এদিন নুসরাত জানান, ওই সংস্থা থেকেই ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত্ দিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের তারকা সাংসদ নূসরাত জাহানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হন প্রতারিত ব্যক্তিরা, তাদের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডাকে। কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই ইডির দফতরে হাজির হন বিজেপি নেতা।
নুসরাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার জন্য সমবায়ের মাধ্যমে ২০১৪ সালে সেভেন সেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে তারা ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দেন। সেই সময় এই কোম্পানির একজন ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরাত। তাদের দাবী, এরপর বলা হয়েছিল, পরবর্তী চার বছরের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে ফ্ল্যাট। কিন্তু ২০১৮ সালের পরেও ফ্ল্যাট তারা পাননি। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন সেই প্রতারিতরা। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
প্রতারিতদের দাবী, ৪২৯ জনের কাছ থেকে যে টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল, তা থেকেই ঐ কোম্পানির ডিরেক্টররা ব্যক্তিগত ভাবে ফ্ল্যাট কেনেন, যার মধ্যে রয়েছেন নুসরাত জাহানও।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিলেন সাংসদ। জানালেন তিনি এতে কোনও ভাবেই যুক্ত নন।
Facebook Comments