নারদ মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্যের চার হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়ক। শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টা নাগাদ কোর্টের বিচারভবনে যান ফিরহাদ-সুব্রত-মদন ও শোভন। পরবর্তী হাজিরার দিন এখনও জানানো হয়নি। মিনিট দশেক পরেই আদালত চত্বর ছাড়েন তাঁরা।
এদিন সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় আদালতে যান। ১০টা ৫০ নাগাদ আদালত থেকে চলে যান। আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত জানান, ১৭ মে অর্থাত্ যেদিন নারদ মামলায় চার হেভিওয়েটকে সিবিআই গ্রেফতার করে। সেদিন নিম্ন আদালতে থেকেই তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়। জামিনের শর্তই ছিল তাঁদেরকে আদালতের সামনে হাজিরা দিতে হবে। সেজন্য তাঁরা এসেছিলেন। পরবর্তী হাজিরার দিন এখনও জানান হয়নি। সেটা পরে জানান হবে।
উল্লেখ্য, ১৭ মে সকালে আচমকাই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ কাণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেন। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে প্রথমে চার হেভিওয়েটের জামিন মঞ্জুর করা হয়। সেসময়ই শর্ত দেওয়া হয়েছিল, নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে হবে এই চার নেতাকে। যদিও পরবর্তীতে এই জামিন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সেই শর্ত অনুযায়ী শুক্রবার পৌনে এগারোটা নাগাদ হাজিরা দেন ফিরহাদরা। মিনিট দশেক পরেই আদালত চত্বর ছাড়েন তাঁরা।
উল্লেখ্য, চার নেতার জামিনের জল গড়িয়েছিল হাই কোর্টে। যদিও দুই বিচারপতির মতানৈক্য হওয়ায় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। তবে ধৃতদের জেল হেফাজত থেকে রেহাই দেওয়া হয়। তাঁদের গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জামিন মামলার নিষ্পত্তির জন্য গঠন করা হয় বৃহত্তর বেঞ্চ। বেশ কয়েকদিনের টানাপোড়েনের পর অবশেষে জামিন পান ফিরহাদ, সুব্রত, শোভন, মাদনরা।
Facebook Comments