রফা হয়েছিল ১২ লাখ টাকায়। বিপুল এই অর্থের বিনিময়ে জম্মু-কাশ্মীর থেকে তিন ‘জঙ্গিকে’ দিল্লি পৌঁছে দেবেন। তবে নিজের গাড়িতে করে তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হন জম্মু-কাশ্মীরের সহকারি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) দেবেন্দ্র সিং। তার সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছে ভারতের তদন্তকারী পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি দেবেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তার সঙ্গে যে তিনজন ছিলেন তাদের আত্মসমর্পণ করাতে নিজের গাড়িতে করে রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে তার এই দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের।
গ্রেফতার তিনজন হলেন হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার সৈয়দ নাভিদ মুস্তাক ও রফি রাঠের এবং কাশ্মীরের বাসিন্দা ইরফান শফি মির। শফি মির পেশায় আইনজীবী। গোয়েন্দারা বলছেন, শফি মির আইনজীবী পেশা ছেড়ে জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেয়। ডিএসপি গ্রেফতারের পর থেকে তোলপাড় শুরু হয় উপত্যকার পুলিশ এমনকি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মধ্যেও। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া চেষ্টা করছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা।
অভিযুক্ত দেবেন্দ্র সিং বলছেন, আত্মসমর্পণ করাতেই এই ব্যবস্থা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থাকে কিছু জানাননি তিনি। এক পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, ‘তিনি যা করেছেন তা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
Facebook Comments