কিছুতেই যেন কোহলিদের হারানোর পথে খুঁজে পাচ্ছিল না দলটি। এর মধ্যে আবার টানা দুই ম্যাচেই সুপার ওভারে হার তো আছেই। তবে ফরম্যাট বদল হতেই পাল্টে গেল স্বাগতিকদের ভাগ্য। সেই সঙ্গে দেখা মিলল বহুল প্রতীক্ষিত জয়েরও। ৫-০তে টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপরা। ওয়ানডে সিরিজে আর সেই ভুলের পথে পা বাড়ায়নি স্বাগতিক শিবির। রস টেইলরও টি-টুয়েন্টির মতো ম্যাচ বিলিয়ে দিয়ে আসেননি কোহলিদের কাছে।
বরং ভয়ংকর ব্যাটিং করে এ দিন টেইলর মেরেছেন বুমরাহ, শামি, কুলদীপ প্রত্যেককেই। ৮৪ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এ বর্ষীয়ান কিউই তারকা রস টেইলর। এতে ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হাতে রেখে ৩৪৮ রানের বিশাল টার্গেট অতিক্রম করে নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৪৭ রান টপকে যাওয়া হামেশা দেখা যায় না। হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে সেই কঠিন কাজটি করল নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকে যেমন পরিকল্পনা দরকার ছিল, তা মেলে ধরতে ত্রুটি করেননি দুই ওপেনার গাপটিল ও নিকোলস। রান রেট ছয় বা পাঁচের মধ্যে রেখে শুরু থেকে ব্যাট করতে থাকে কিউইরা। ৮৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও নিকোলস আস্থার সঙ্গে ব্যাট করেন। অভিষেকে নামা ব্লান্ডেল আউট ৯ রানে। আর নিকোলস ৮২ বলে ৭৮ রান করে আউট হন। তবে কিউইদের ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন চতুর্থ উইকেটে রস টেইলর ও টম ল্যাথামের জুটি। অভিজ্ঞ টেইলর ও কিউই অধিনায়কের মারমুখী ৮০ বলে ১৩৮ রানের জুটিতে জয়ের পথে হাঁটে স্বাগতিকরা।
এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ৩৬ থেকে ৪০ ওভার। ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে সাধারণত একটু কম শট খেলতে অভ্যস্ত থাকেন ব্যাটসম্যানরা। তবে নিউজিল্যান্ড এই ৫ ওভারে বেশি চড়াও হন ভারতীয় বোলারদের ওপর। শার্দুল, জাদেজাদের কচুকাটা করে এই পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭০ রান তোলে কিউইরা।
ল্যাথাম ৩৮ বলে ৭টি চার এক ছক্কায় তোলেন ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে, ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ বলে রস টেইলর তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি। ৪৮ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ব্যাটিং করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ল্যাথাম। তব টেইলরের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপরা।
Facebook Comments