পেট না ভরলে মন ভরে না কোনওকালেই। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না, পেটপুজো ছাড়া গোটা উৎসবই ফাঁকা। এদিকে পুজোর পাঁচ দিনে অফিস ক্যান্টিনের ওসব পক্কান্নের মুখ দেখতে হবে না সেটা ভাবলেই মনটা ভাল হয়ে যাচ্ছে? তাহলে আপনার মন আরও ভাল করতে কিছু খাবারের সুলুক সন্ধান রইল।
খাস কলকাতাতেই বাদশাহি আমেজ পেতে পৌঁছে যান আওধ ১৫৯০-এর যে কোনও আউটলেটে। পুজোর স্পেশাল মেনুর পশরা সাজিয়ে নবাবি মেজাজে তৈরি রেস্তোরাঁ। যদি আপনি ভেজিটেরিয়ানও হন, তাহলেও কুছ পরোয়া নেহি। ননভেজের সঙ্গে থাকছে ভেজ আইটেমও। কাঠের দরজা ঠেলে ঢুকতেই কানায় কানায় মিলবে নবাবি মেজাজের স্বাদ, সঙ্গে জাফরানি খুশবু মিলেমিশে গিয়েছে। ঝাড় লণ্ঠনগুলোর নিচে বসে খেতে খেতে নিজেকে নবাবও মনে হতে পারে আপনার।
স্টার্টারসে থাকছে শিক কাবাব, গালৌটি কাবাব, আওধি সুগন্ধি মাহি, শাহি দই কাবাব, জাফরানি কাবাব, কলমি কাবাব, কর্ণ শিক কাবাব।
মেইন কোর্সে মিলবে সালান, রান বিরিয়ানি, গোস্ত মেটিয়াব্রুজ বিরিয়ানি, চিংড়ি বিরিয়ানি, লক্ষ্মৌই পরোটা, ব্রেইন মসালা, নেহারি খাস, কিমা কলেজি, মুরগ কসা, মুর্গ ইরানি, মুর্গ রেজালা, গোস্ত ভুনা, গোস্ত রেজালা, ডাল গোস্ত, মাহি কালিয়া, ইরানি ঝিঙা মসালা. আওধি ডাল, পনির কোর্মা, সাহি ডাল এবং আওধি দম আলু। মুখ মিঠায় সাহি টুকড়া, গাজরের হালুয়া।
এবার হাজারো পদ দেখে আপনি নাজেহাল হলে, থাকছে শেফস পিক, অর্থাত শেফের পছন্দ। সেই তালিকায় রয়েছে জাফরানি কাবাব, গালৌটি কাবাব, লক্ষ্মৌই পরোটা, কলমি কাবাব, আওধি সুগন্ধি মাহি, আওধি হান্ডি বিরিয়ানি, মুর্গ ইরাণী, গোস্ত ভুনা, মাহি কালিয়া।
সব তো হল, পকেটের কথা ভুললে চলবে কী করে? এ ক্ষেত্রে দুজনের খাওয়া-দাওয়ায় সম্ভাব্য খরচ ১,২০০ টাকা (কর অতিরিক্ত)।
তাহলে আকাশ পাতাল না ভেবে পুজোর সময় যে কোনও দিন লাঞ্চ বা ডিনারে আওধি স্বাদ চাখতে দুপুর ১২.০০ থেকে বিকেল ৩.৩০ এবং বিকেল ৬.০০ থেকে ১০।৩০ পর্যন্ত যে কোনও সময়ের মধ্যে পৌঁছে যান আওধ ১৫৯০-এ।
Facebook Comments