নিজামুদ্দিন মারকাজের ঘটনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কঠোর রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশের ২,৫০০ তাবলিগ সদস্যের ভারতে ঢোকার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। আগামী ১০ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভ্রমণ ভিসায় দেশে ঢুকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অপরাধেই ওই ২,৫৫০ সদস্যের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হওয়ার পরেও সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে মার্চ মাসের মাঝামাঝি দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে জড়ো হয়েছিলেন বহু তাবলিগ জামাত সদস্য। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বহু তাবলিগ জামাত সদস্য মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ওই সদস্যরা সংক্রমণ নিয়ে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ফলে তেলেঙ্গানা, তামিলনাডু, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় সহ বেশ কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বেড়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। মারকাজের প্রধান মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে পুলিশ সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে মামলাও দায়ের করেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এপ্রিল মাসে তাবলিগ জামাতের ৯৬০ সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তাঁদের ভিসাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক এদিন জানিয়েছেন, বিদেশি তাবলিগি জামাতের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদ সহ ধর্মীয় স্থানে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন বলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরাও ছিলেন। ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে শর্তাবলী রয়েছে, সেই শর্তাবলী লঙ্ঘনের কারণেই ২,৫৫০ জনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চার মার্কিন নাগরিক, ৯ ব্রিটিশ নাগরিক ও ৬ চিনা নাগরিকও রয়েছেন।
Facebook Comments