গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি রয়েছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত হয়েছে রাজ্যের ২১টির বেশি জেলা। বহু অঞ্চলে নদীর জল বিপত্সীমার অনেক ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) মতে, এবার বন্যা জনিত কারণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া লখিমপুর, ঢেমাজি, বিশ্বনাথ, ডারাং, চিরাং, নলবাড়ী, মাজুলি, গোলাঘাট, ডিব্রুগড়, জোরহাট, নগাঁও, কোকড়াঝড় বঙ্গাইগাঁও, মরিগাঁও, বকসা এবং শোণিতপুরে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের পানিবন্দি নারী-পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করতে কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করছে। একইসঙ্গে চালানো হচ্ছে ত্রাণ কার্যক্রমও। এদিকে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে বন্যার জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে তৈরি করা বিশেষ প্ল্যাটফরমে বানভাসি লোকদের পোষা প্রাণীগুলোকে আপাতত রাখার সুযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অপর দিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। যেখানে তাকে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে রাজ্য সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে অতি দ্রুত যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়; সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে গৃহপালিত পশুদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং তাদের খাদ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড়ের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments