পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পরবর্তী অর্থবছরে তাদের জন্য বরাদ্দ কমাতে রাজি হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণে এই বিরল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নানা দিক থেকে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। এ অবস্থায়ও সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগে আমি তাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।
এদিকে মঙ্গলবার এক ট্যুইটে পাকিস্তানের আইএসপিআর’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, তবে বাজেট কমে গেলেও দেশের প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা ব্যবস্থায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকির কার্যকর জবাব দেয়া অব্যাহত রাখবো বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সরকার আগামী ১১ জুন তাদের ২০১৯-২০ সালের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবর বলছে, বিশ্বে বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য বড় বরাদ্দ দেয়া দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ২০তম। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর জন্য দেশটির বাজেট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার।
বিশ্বে সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানে গত কয়েকবছর ধরে মুদ্রা সংকট চলছে। যা ইমরান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে নতুন করে আরো ছয়শ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
ছবি সংগৃহীত
Facebook Comments