হঠাৎ করেই পুরষা হাসপাতালের বিএমওএইচ শেখ ফারুক এর বদলির নির্দেশ আসায় ক্ষোভ জমছে গলসি ১ নং ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষদের মধ্যে। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বর্তমান বিএমএইচও সাধারণ মানুষ তথা রোগীদের কথা ভেবে হাসপাতাল কেন্দ্রিক বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মসূচী নিয়েছিলেন। এখন হঠাৎ করেই যদি তিনি এখান থেকে চলে যান তবে কাজ গুলি বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীরর। এদিন সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফারুকবাবু নিজস্ব উদ্যোগে পুরষা হাসপাতালের ভিতর যানবহন রাখার আলাদা করে পার্কিং প্লেস তৈরি করেছেন। তাছাড়া হাসপাতালের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের বাগান থেকে শুরু করে ওপিডি রোগীদের জন্য নতুন শেডের ব্যবস্থা করেছেন। পুরষার বাসিন্দা শিক্ষক সামসের আলম বলেন, হাসপাতালের জন্য যিনি জমি দান করেছিলেন বর্তমান বিএমওএইচ ছাড়া সেই বিষয়টিতে পূর্বতনরা কেউ নজর দেননি। তাই আজ ফারুকবাবু জমিদাতার নামে একটি ফলক বসিয়েছেন। তাছাড়া হাসপাতালে যুবকদের অযথা আড্ডা বন্ধ করা ও ম্যাডিকেল রিপ্রেসেন্টেটিভ অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করে তিনি রোগীদের কাছে সুনাম অর্জন করেছেন। ফারুকবাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যতদিন এখানে আছি এই হসপিটালের পরিষেবা যাতে কোন ভাবে বিঘ্নিত না হয় তা দেখব। সাধারণ মানুষরা ফারুকবাবুর অপ্রত্যাশিত এই বদলিতে ষড়যন্ত্রের যোগ খুঁজছেন। একই সাথে এই বদলি যাতে আটকানো যায় তার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানানো হয়েছে। মাত্র চার মাসে তিনি যা হাসপাতালে উন্নয়ন করেছেন তা এলাকার মানুষের নজর কেড়েছেন বলে জানা যায়। ১৯৮২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৫ বৎসরে এই হাসপাতালকে সাজানোর কথা ফারুকবাবুর মত কোন বিএমওএইচ ভাবেননি বলে এলাকার মানুষের বক্তব্য। হঠাৎ করে ফারুক সেখের বদলির নির্দেশ আসায় পুরসা,গলিগ্রাম,পারাজ,রাইপুর,সিমনোর,বুদবুদ গ্রামের মানুষ গর্জে উঠেছেন। তাদের বক্তব্য যে কোন প্রকারে এই বদলি আমরা আটকাব। তাই প্রতিটি গ্রাম থেকে গণ স্বাক্ষর নিয়ে সিএমওএইচের কাছে গন ডেপুটেশন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে ফারুকবাবু জানিয়েছেন, পুরসা হাসপাতালকে নবরুপে সাজানো ও উন্নয়ন কাজ করতে যে পরিশ্রম করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম তার জন্য আর পিছতে পারব না। অন্য কোথাও বদলি করলে প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দেব বলে জানিয়েছেন তিনি। গলসি ১ নং ব্লকের তৃনমূল সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ফারুকবাবুকে কোথাও যেতে দেব না। তাতে উপরমহলে যেখানে যেতে হয়,সেখানে আমরা যাব। গলসি ১ নং ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি শাহ্ ওমর ফারুক বলেন, এত কম সময়ে হাসপাতালের এত উন্নয়ন কোন বি,এম,ও,এইচ আগে কখনও করেন নি। স্বাস্থ্যভবন থেকে যতই বদলির আদেশ আসুক না কেন, আশপাসের গ্রামগুলি তা রুখবেন বলে জানা গেছে। মাত্র চারমাসে হঠাৎ করে এই বদলি মানুষের মধ্যে কৌতুহল জেগেছে বলে জানা গেছে। গলসি ১ নং ব্লকের পুরসা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক সেখের এই বদলির নির্দেশকে কেন্দ্র করে এলাকায় হৈ চৈ চলছে তুঙ্গে।
Photography – Sudeep Pal
Facebook Comments