পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘নিরাপত্তার গলদ’ নিয়ে স্বাধীন কমিটি গঠনের বিষয়ে একমত হল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটির শীর্ষে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার এবং পঞ্জাব সরকারকে তদন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই কমিটিতে চন্ডীগড়ের ডিজিপি, জাতীয় তদন্ত সংস্থার আইজি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পঞ্জাবের এডিজিপি (নিরাপত্তা)-কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্র ও পঞ্জাব সরকারকে আর তদন্ত করার কোনও দরকার নেই।
গত সপ্তাহে পঞ্জাবের ফিরোজপুরে প্রধানমন্ত্রীর ‘নিরাপত্তায় গলদের’ ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আর্জির শুনানিতে সোমবার পঞ্জাব সরকারের তরফে আইনজীবী ডিএস পাতওয়ালিয়া জানান, কোনওরকম কথা না শুনেই পুলিশ আধিকারিকদের শো-কজ নোটিশ ধরিয়েছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘যখন শুনানি থমকে আছে, তখন কীভাবে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়? কেন্দ্রীয় সরকারের কমিটির থেকে আমি সঠিক বিচার পাব না।’ আদালতের নজরদারিতে তদন্ত কমিটি গঠনের আর্জি জানান তিনি।
কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ‘নিরাপত্তার গলদের’ জন্য পঞ্জাব সরকারই দায়ী। স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) ‘ব্লু বুকের’ বিষয়টি তুলে ধরেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। মেহতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কনভয় যে জায়গায় পৌঁছেছিল, সেখান থেকে বিক্ষোভস্থলের দূরত্ব ১০০ মিটার ছিল। ব্লু বুক অনুযায়ী, নিয়মগুলি যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয়, তার দায়িত্ব থাকে (রাজ্যের) আধিকারিকদের উপর। যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেজন্য এরকম আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া উচিত রাজ্যের।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেন, উড়ালপুলের কাছে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই দেখতে হবে যে কোথায় নিরাপত্তায় গলদ হয়েছে।’ যদিও কেন্দ্রের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি হিমা কোহলি। শেষপর্যন্ত নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
Facebook Comments