ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবীতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরে ৩০ জানুয়ারী সিপিআই(এম) কে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করার অনুমতি পুলিশ প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এ তথ্য জানান। আধিকারিক বলেন যে সিপিআই(এম) কে অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল কারণ প্রস্তাবিত সমাবেশটি ভাঙরে আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করতে পারে।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বর্তমানে ভাঙর পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনও সমাবেশ বা প্রকাশ্য বিক্ষোভ শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। তাই আমরা অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সিপিআই(এম) ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সাথে জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) বাজেভাবে পরাজিত হয়েছিল, কিন্তু আইএসএফ-এর মাত্র একজন বিধায়ক জয় পেয়েছেন।
এদিকে, কলকাতা পুলিশ ২১ জানুয়ারী এসপ্ল্যানেড এলাকায় শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি দলীয় সমাবেশ চলাকালীন সহিংস সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আইএসএফ কর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দাবী করে যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা পার্টি কর্মীদের উপর হামলা চালায় যখন তারা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ভাঙর থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসছিল। ঘটনার পরে বিধায়ক এবং ১৭ জন অন্যান্য দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছিল। তাকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে নগর আদালত।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে আইএসএফ। তারা অবিলম্বে নওশাদকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। নওশাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিপিএম ৩০ জানুয়ারি ঘাটকাপুকুর থেকে কাঁথালিয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করার অনুরোধ করেছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিপিএম নেতৃত্ব থানায় গেলে তাদের বলা হয় যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেজন্য মিছিল করতে দেওয়া যাবে না। সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, ‘শাসক শ্রেণী ভীত। তাই ভাঙার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মানুষ যাতে কোনও প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। আরাবুলের ছেলে তথা ভাঙরের যুব তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যে কারণে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।”
Facebook Comments