দাদা সকাল সকাল স্নান সেরে সেজেগুজে বসে হাকডাক শুরু কইরে আয় ফোঁটা টা দে পাড়ার সব বাড়ি থেকে তো শঙ্খধ্বনি আসছেরে, আয় না বোন।
মা,মাসি, দিদা ব্যস্ত কেউ মিস্টির থালা গোছাতে, কেউবা পেতলের থালায় সুন্দর করে চন্দন, দূর্বো ধান, পানসুপুরি সাজাতে।ধান দূর্বো দিয়ে মাথায় হাত রেখে বলা সেই চির মধুর কটা লাইন
“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোটা
যমের দুয়ারে পড়ল কাটা
যমুনা দেয় যমকে ফোটা
আমি দেই আমার ভাইকে ফোটা”
আর ব্যাকগ্রাউন্ডে শাঁখের আওয়াজ। মিস্টি টা দাদার মুখে দিয়ে হাত পেতে বসে পড়তাম, দাদা গিফট। ও পা টা বাড়িয়ে বলতো আগে প্রনাম কর।
দাদা বাইরে থাকে, অনেক বছর হয়ে গেছে ফোঁটা দেওয়া হয়না সামনাসামনি বসে, কিন্তু দিনটা এলে নিজের হাতে মিস্টি করে… দাদার মঙ্গল কামনায় ঘরের দরজায় ফোঁটা দি আমি।
আজ দাদার জন্য বানানো মিস্টির রেসিপি তোমাদের জন্য……
ছানার রসমালাই
উপকরণ
মালাইয়ের জন্য: ২ লিটার
দুধ রসের জন্য: ২ লিটার
মিল্কমেট: ১/২ কৌটো
চিনি : ৩ কাপ
লেবুর রস :১/২ কাপ
এলাচ গুঁড়া :১/২ চা চামচ
ময়দা :২ চা চামচ
জল: ৮ কাপ
কর্ণফ্লাওয়ার: ১ চা চামচ
প্রণালি :
দুধ গরম করে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করে নিতে হবে, সুতি কাপড়ে ঝুলিয়ে রেখে জল ঝরিয়ে নেব। ছানা হাতের চাপে ভাল করে ম্যাশ করে নিয়ে বড় থালায় ঢেলে নেব। এবার ওর মধ্যে ২ চা চামচ ময়দা, ২ চা চামচ চিনি, এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে ভাল করে ৫ মিনিট ধরে মেখে ছানার দলা তৈরি করে নেব। তার থেকে হাতের তালুতে গোল করে ছোট ছোট ছানার বল বানিয়ে নেব।
৮ কাপ জল ওর মধ্যে দুই কাপ চিনি দিয়ে সিরা তৈরি করে নেব। ফুটন্ত সিরায় মালাই দেব হালকা আঁচে ১০-১৫ মিনিট ফুটতে দেব। এরপর নামিয়ে ঘন্টাদুই রেখে দেব। সিরা থেকে মিষ্টি ছেঁকে নিতে হবে।
রস তৈরির প্রণালি :
২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে ঘন করে এক লিটার করব, মিল্ক মেট ১ কাপ চিনি দিয়ে রস তৈরি করব। রসের মধ্যে সিরা ছাড়া তৈরী করা মালাইগুলো ঢেলে দেব। কর্ণফ্লাওয়ার ভিন্ন একটি পাত্রে গুলে নিতে হবে। এবার কর্ণফ্লাওয়ার, দুধ ও মিষ্টি দিন, রসমালাই ৫ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলব। ঠান্ডা করার জন্য মালাইগুলোকে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দেব।
পরিবেশন করব দারুন মজাদার রসমালাই।
Facebook Comments