টানা তিন সপ্তাহ চলছে 🇷🇺রাশিয়া-ইউক্রেন🇺🇦 যুদ্ধ। অপর দিকে রুশ সৈন্যদের মোকাবিলায় পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনে সরাসরি সেনা না পাঠালেও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করছে। মূলত যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ায় এর প্রভাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও পড়তে শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে রাশিয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্ক।
গত শুক্রবারই রুশ মিডিয়া রেগুলেটর ঘোষণা দিয়েছিল, খুব দ্রুত ফেসবুক ও টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে। রবিবার দিবাগত রাত থেকে আর কোনো ব্যক্তি ওই দুই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন না। সোমবার ভোরে দেখা গেল, ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামও আর কাজ করছে না। নেটব্লক্স সাইবার সিকিউরিটি ওয়াচডগ সরকারিভাবে তথ্যটি প্রকাশ করেছে।
মস্কোর দাবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছিল। সে কারণেই আপাতত সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জনগণকে বলা হয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিকল্প ব্যবস্থা করে নিতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার একাংশের জনগণ নিজ দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলছিল। বস্তুত এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে যেহেতু দ্রুত জনমত গড়ে তোলা যায়, তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিনের সরকার।
এ দিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হয়েছে। যুদ্ধবিরতির দিকে দুই পক্ষই খানিকটা এগিয়েছে বলে সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন এখনো পর্যন্ত ঘটেনি। রাজধানী কিয়েভের খুব কাছে লাগাতার গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনীয় মিডিয়ার দাবি, ইউক্রেনের একাধিক শহর কার্যত জনশূন্য হয়ে গেছে। কেবলমাত্র যোদ্ধারাই সেখানে লড়াই চালাচ্ছেন। অন্য দিকে মারিউপোলে এখনো বেশকিছু মানুষ আটকে আছেন বলে জানানো হয়েছে। মস্কো বলছে, লভিভের কাছে ইউক্রেনের একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
Facebook Comments