দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে খুন করার চেষ্টা চলছে বলিউডের ভাইজানকে। যে কোনও সময়েই খুন হয়ে যেত পারেন সলমন খান।সলমনের বান্দ্রার বাড়ির ওপরও চলছিল নিয়মিত নজরদারি। এমনকী রেইকি পর্যন্তও করা হয়েছিল সলমনের বাড়িতে। কোথায়, কখন যাচ্ছেন, কে কখন আসছে ভাইজানের বাড়িতে সবকিছুর উপরই চলছে কড়া নজরদারি।
রাতারাতি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাইজানকে। বেশ কিছুদিন আগেই বন্দুকের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করেছিলেন সলমন খান। শেষমেষ নিরাপত্তা খাতিরে লাইসেন্সও পেয়েছেন ভাইজান। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই তা তুলে দেওয়া হয়েছে ভাইজানের কাছে।
গত শনিবার ফের নিরাপত্তা বাড়ানো হল সলমন খানের। বলিউডের ভাইজানকে ইমেলের মাধ্যমে আবারও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে। গত শনিবার সলমন খানের অফিসে হুমকির মেইল পাঠানোর অভিযোগে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার, রোহিত গর্গের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আইপিসি ধারা ৫০৬(২), ১২০ (বি),এবং ৩৪-এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে মামলা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিত গর্গ নামে একজন এই মেইলটি পাঠিয়েছেন। এবং তাতে উল্লেখ করা, কানাডিয়ান গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার সলমন খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলতে চান, এবং শুধু তাই নয় এই মেইলের মধ্যে গ্যাংস্টার বিষ্ণোইয়ের সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারের কথাও উল্লেখ করা আছে। যেখানে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বলেছেন, সলমন খানকে হত্যা করাই তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই লরেন্স ও গোল্ডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। লরেন্স এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি সাক্ষাত্কারে আগেও বলেছিলেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে সলমন খানকে। এবং তার জন্য গ্রামের মন্দিরে যেতে হবে, অন্যথায় পরিণতি ভাল হবে না। কৃষ্ণসার হরিণকে তাদের গ্রামের লোকেরা দেবতা রূপে পুজো করে, সেই কৃষ্ণসার হরিণকে মেরে অনেক বড় অন্যায় করেছেন সলমন খান। গোটা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে তিনি আঘাত করেছেন। এই জন্য ফল ভুগতে হবে সলমনকে । ১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শুটিং চলাকালীন যোধপুরে দুটো কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে,এমনকী তাকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডও দেওয়া হয়েছিল।
Facebook Comments