রাজ্য বিধানসভায় যে বিলগুলি পাশ করা হয়, রাজ্যপাল যদি সম্মতি দেন তবেই তা আইনে পরিণত হয়। সে কারণেই বিল পাঠানো হয় স্বাক্ষরের জন্য। কিন্তু রাজ্যের তরফে সম্প্রতি অভিযোগ আনা হয়, গত কয়েক মাসে প্রচুর বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। রাজ্যপাল তাতে ইচ্ছাকৃতভাবে সই করছেন না বলে, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই মামলার সূত্রে রাজভবনকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি নোটিশ জারি করা হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জন্যও।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যেহেতু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, তাঁর কাছে সংবিধানের রক্ষাকবচ থাকায় সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেনি রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের যিনি সচিব তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ মৌখিক ভাবে রাজ্যপালকেই নোটিশ দেওয়ার বলেন। মূলত, কোনও বিল নিয়ে যদি রাজ্যপাল নিজে কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে দুটি সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে থাকেন। এক, বিলটি সিদ্ধান্তের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো, দুই, বিল সংশোধনের জন্য বিধানসভায় ফেরত পাঠানো। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেছে রাজ্যপালের তরফে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সুতরাং এভাবে দিনের পর দিন বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজভবন ফেলে রাখতে পারে না বলে রাজ্য দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।
Facebook Comments