করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন নিয়ে এবার নতুন উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, ধরনটির নতুন একটি সংস্করণের খোঁজ মিলেছে যা পিসিআর টেস্টের মতো প্রচলিত করোনা পরীক্ষায় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে ওমিক্রনের নতুন সংস্করণটির উপস্থিতি মিলেছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি আরও বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন সংস্করণটির একাধিক মিউটেশন রয়েছে। এ দিক দিয়ে ওমিক্রনের সঙ্গে এটির মিল আছে। তবে সংস্করণটিতে ওমিক্রনের মতো একটি নির্দিষ্ট জিনগত পরিবর্তন দেখা যায়নি। এ কারণেই পিসিআর টেস্টে একে ওমিক্রন হিসেবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রচলিত করোনা পরীক্ষা নতুন এ সংস্করণকে সাধারণ করোনাভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু জিনোম টেস্টেই ওমিক্রন হিসেবে এটি ধরা পড়ে। করোনা শনাক্তে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য পিসিআর টেস্ট ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
সদ্য শনাক্ত হওয়া সংস্করণটি ওমিক্রনের মূল সংস্করণের মতোই সংক্রামক কি না, এ তথ্য এত জলদি মিলবে না বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তবে এটুকু বলছেন, সংস্করণটি জিনগতভাবে স্বতন্ত্র, তাই এর আচরণও ভিন্ন হতে পারে।
ওমিক্রন শনাক্তের পর এককভাবে এর বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বি.১.১.৫২৯’। তবে নতুন সংস্করণটি সামনে আসার পর গবেষকেরা আলাদাভাবে এটির নাম দিয়েছেন ‘বিএ.২’। আগের সংস্করণটিকে বিএ.১ নামে ডাকা হচ্ছে।
এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন জেনেটিকস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফ্রাঙ্কোয়িস ব্যালক্স বলেন, ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ সংস্করণের মধ্যে জিনগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। তাই সংস্করণগুলো আলাদা আচরণ করতে পারে।
এদিকে ওমিক্রনের নতুন সংস্করণটি নিয়ে আরও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আরেক গবেষক। তিনি বলছেন, নতুন সংস্করণটি জিনগতভাবে এতটাই স্বতন্ত্র যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে একে আলাদাভাবে করোনার ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর আগে গত মাসে ওমিক্রন শনাক্তের পর একে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ বলে আখ্যা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
Facebook Comments