আবারও স্কুলে শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শহর কলকাতায়। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই শিক্ষক দীপক কর্মকারের বিরুদ্ধে। যে অভিযোগকে ঘিরে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা, এবং স্কুলে ভাঙচুর চালান বলেও দাবি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে অভিভাবকদের একাংশ ইট-পাটকেল ছোড়েন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন অভিভাবক ও ১০ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকুরিয়ার ওই স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক। ওই আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, “স্কুলের শিক্ষক দীপক কর্মকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন এক মহিলা। এরপরই ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেই দাবি না মানাতেই পরে স্কুল ভাঙচুর শুরু করেন। এরপরই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।” অভিভাবকদের একাংশ পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রচুর ইট-পাটকেল ছোড়েন বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
স্কুলে বিক্ষোভের সময় মহিলা পুলিশ বাহিনী কেন মোতায়েন ছিল না, তা নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন ওই স্কুলের অভিভাবকদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, “স্কুল চত্বরে মহিলা পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিলেন। প্রথম থেকেই ছিলেন।”
অন্যদিকে, এ ঘটনার পরই স্কুল চত্বরে ছুটে যান ডিসি (এসইডি) কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তবে আপাতত পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছরের শেষের দিকে কলকাতার দুই নামী স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। স্কুলে শিশুর যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে অভিভাবকদের নজিরবিহীন বিক্ষোভের সাক্ষী ছিল মহানগরী। এ ঘটনার জেরে শহরের স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকাও তৈরি হয়।
প্রতীকি ছবি
Facebook Comments